scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে ফেসবুক লাইভে এসে সাকিবকে দুষলেন তামিম? 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিম ইকবালের একটি ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হচ্ছে। গতকাল তামিম দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই ভিডিয়োটি বিপুল পরিমাণে শেয়ার করা হচ্ছে। সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে যে তামিম ইকবাল নাকি ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন যে, তিনি সাকিবের সঙ্গে আর খেলতে চান না। 

ফ্যাক্ট চেক: বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে ফেসবুক লাইভে এসে সাকিবকে দুষলেন তামিম?  ফ্যাক্ট চেক: বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে ফেসবুক লাইভে এসে সাকিবকে দুষলেন তামিম? 

সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ান ডে সিরিজ হারের পর ঘোষণা করা হয়েছে তাদের বিশ্বকাপের দল। আর সেখানে জায়গা পাননি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার ও প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কেন তিনি দলে জায়গা পাননি সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা কাটাছেঁড়া ও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। 

তবে এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিম ইকবালের একটি ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হচ্ছে। গতকাল তামিম দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই ভিডিয়োটি বিপুল পরিমাণে শেয়ার করা হচ্ছে। সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে যে তামিম ইকবাল নাকি ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন যে, তিনি সাকিবের সঙ্গে আর খেলতে চান না। 

.

ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "আমি আর সাকিবের সাথে বিশ্বকাপে খেলতে চাই না।লাইভে এসে মুখ খুললো তামিম ইকবাল।" 

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি প্রায় দুই বছর আগেকার। এবং তিনি সাকিবের কথাও সেই লাইভে এসে কিছু বললেননি। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

গতকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলাদেশের দল ঘোষণার পরই দেখা যায় সেখানে নেই তামিমের নাম। এরপরই যদি তিনি ফেসবুক লাইভে এসে সতীর্থের নামে বিষোদ্গার করতেন, তাহলে নিশ্চই সেই নিয়ে খবর প্রকাশ পেত। কিন্তু তেমন কিছু আমরা দেখতে পাইনি।

এরপর আমরা তামিম ইকবালের অফিশিয়াল পেজে গিয়ে অনুসন্ধান করে দেখি যে তিনি এমন কোনও ভিডিয়ো আপলোড করেছেন কিনা। তখন দেখা যায়, এদিন বুধবার তামিম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, "আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত - সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।" 

অর্থাৎ এর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে তামিম দল থেকে বাদ পড়ার পর এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই স্ট্যাটাস দেওয়া বাদে আর কিছুই জানাননি। 

এরপর আমরা ভাইরাল ভিডিয়োটি খুঁজে পাই তামিম ইকবালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন নিজের পেজে। ভিডিয়োতে তাঁকে সেই বছরের টি২০ বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে শোনা যায়। 

তামিম নিজের ভিডিয়োতে বলেন,  "ছোট্ট একটা অ্যানাউন্সমেন্ট ছিল। আমি কিছুক্ষণ আগে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন ভাই আর আমাদের টিম সিলেক্টর নান্নু ভাইয়ের সাথে... আমি ওনাদেরকে ফোন করেছিলাম, ফোন করে আমি কিছু জিনিস শেয়ার করেছি। যেটা আমি সবার সাথেই শেয়ার করতে চাই... আমি ওনাদের বলেছি, আমার মনে হয় না যে আমার ওয়ার্ল্ড কাপ টিমে থাকা উচিত। আই অ্যাম ব্যাসিকলি নট অ্যাভাইলেবল ফর দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ। এটার দুই–তিনটি কারণ আছে।"

তামিমের কথায়, "আমার কাছে মনে হয় যে, গেইম টাইম ইজ ওয়ান অব দ্য বিগেস্ট রিজন। আমি বেশ কয়েক দিন ধরে খেলছি না এই ফর্মেটটা। সেকেন্ডলি ইনজুরি, বাট ইনজুরি মনে হয় না অত বড় সমস্যা। কারণ আমি আশা করি যে, ওয়ার্ল্ড কাপের আগেই ঠিক হয়ে যাব। বাট, যে জিনিসটা আমাকে এই ডিসিশন নিতে ট্রিক করেছে... লাস্ট প্রায় ১৫ / ১৬টা টি–টোয়েন্টি খেলিনি, সঙ্গে আমার জায়গায় যারা খেলছিল আমার কাছে কোনও ভাবেই মনে হয় না যে, এটা ফেয়ার হবে তাদের প্রতি, যদি আমি হঠাৎ করে এসে ওদের জায়গাটা নিয়ে নিই। হয়তো বা আমি ওয়ার্ল্ড কাপ টিমে থাকতাম... বাট আমার কাছে মনে হয় না যে এটা ফেয়ার হতো।" এই ভিডিয়োতে কোথাও তামিমকে বলতে শোনা যায়নি যে তিনি সাকিবের সঙ্গে খেলতে চান না। 

তামিমের এই বক্তব্য থেকেই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে তিনি এই কথাগুলি দু বছর আগে টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বলেছিলেন এবং তা একটি মিথ্যা দাবি-সহ শেয়ার করা হচ্ছে। 


  

ফ্যাক্ট চেক

Facebook Pages

দাবি

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তামিম ইকবাল বলেন তিনি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে খেলতে চান না।

ফলাফল

তামিমের এই ভিডিয়োটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের যখন তিনি জানান যে নানা কারণে তিনি টি২০ বিশ্বকাপের অংশ হবেন না। এখানে সাকিবকে নিয়ে কিছু বলেলনি তামিম।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Facebook Pages
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন