দীর্ঘদিন পর সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তাঁকে নিয়ে একটা খবর। যার শিরোনামে লেখা রয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গের বুকে বাংলাদেশের পতাকা দেখতে চাইলে,বাংলাপক্ষের মতো ভারতের সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের হাত মজবুত করে তুলুন"। খবরটি নাকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'দৈনিক ইত্তেফাক'-এ, ২৩ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। একই খবর ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন , "পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করতে, বাংলাপক্ষকে সমর্থন করুন।"
যদিও ইন্ডিয়া টুডে তদন্ত করে দেখেছে যে খালেদা জিয়া বাংলাপক্ষকে এমন কোনও মন্তব্য করেনি। বাংলাপক্ষকে নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও বলেননি এবং পশ্চিমবঙ্গ দখলের কথাও বলেননি।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
'দৈনিক ইত্তেফাক'-এর ভাইরাল স্ক্রিনশটটিতে দেখা যাচ্ছে যে ২৩ জুলাই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ই-পেপারে ২৩ জুলাই আমরা এমন কোনও খবর প্রকাশ হতে দেখিনি।
এরপর ইন্ডিয়া টুডের তরফে 'দৈনিক ইত্তেফাক'-এর সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সঙ্গে সরসারি যোগাযোগ করা হয়। তিনি আমাদের নিশ্চিত করে জানান যে বাইরাল খবরটি তাঁদের সংবাদপত্র বা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি।
বিএনপি দলের তরফে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজি মাযহারুল ইসলাম দোলন জানান যে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। ভাইরাল সংবাদতে থাকা মন্তব্যটি তিনি কখনই করেননি। পুরটাই ফেক।
বাংলাপক্ষ কী?
বাংলাপক্ষ কোনও বিচ্ছিন্নতাদাবী সংগঠন নয়। এটি বাংলা ও বাঙালির হয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন। যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ও বাঙালিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলে।
সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট করে বলাই যায় যে ভাইরাল খবরটি ভুয়ো। পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে গেলে বাংলাপক্ষের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে সাহায্যর কথা বলেননি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়া।
ইনপুট- সাহিদুল হাসান খোকন, বাংলাদেশ
পশ্চিমবঙ্গের বুকে বাংলাদেশের পতাকা দেখতে চাইলে,বাংলাপক্ষের মতো ভারতের সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের হাত মজবুত করে তুলুন।
ভাইরাল খবরটি ভুয়ো। পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে গেলে বাংলাপক্ষের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে সাহায্যর কথা বলেননি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়া।