scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন দাস?

যদিও ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে দাবিটি সম্পূর্ণ ভুল বলে ধরা পড়েছে। লিটন দাস কেন এখনও কেউই ধোনির করা দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেরর্ড ভাঙতে পারেনি।

Advertisement
মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন দাস? মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন দাস?

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পকেটে ভরেছে বাংলাদেশ। শাকিব, লিটনদের অনবদ্য খেলার সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি বাটলার, মইন আলিরা। শেষ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি, উইকেটের পিছনেও অনবদ্য ছিলেন লিটন দাস।

এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে একটা দাবি ফেসবুকে খুব ঘুরছে। নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছে, মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার। লিটন দাসের উইকেট কিপিংয়ের একটি ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, "ক্রিকেট ইতিহাসে সবথেকে দ্রুততম স্টাম্পিং। এম.এস ধনি ০.১৬ সেকেন্ড, লিটন দাস ০.১৪ সেকেন্ড" (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত) শেয়ার করা ছবির এক জায়গায় লেখা রয়েছে, 'রিঅ্যাকশন টাইম ০.১৪ সেকেন্ড'।

অর্থাৎ নেটিজেনদের ওই অংশের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ০.১৬ সেকেন্ডে স্টাম্প আউট করে যে রেক্র্ড গড়েছিলেন, ০.১৪ সেকেন্ডে স্টাম্পিং করে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লিটন দাস।

যদিও ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে দাবিটি সম্পূর্ণ ভুল বলে ধরা পড়েছে। লিটন দাস কেন এখনও কেউই ধোনির করা দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেরর্ড ভাঙতে পারেনি।

কীভাবে এগোল তদন্ত?

তদন্তের শুরুতে,বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড সংক্রান্ত তথ্য  আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। সেটা করতে গিয়ে ২০২১ সালে Times Now News-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমাদের নজরে পড়ে। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলা একটি একদিনের ম্যাচে, ক্যারিবিয়ান ব্যাটার কিমো পলকে স্টাম্প আউট করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর রিঅ্যাকশন টাইম ছিল ০.০৮ সেকেন্ড। সেটাই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম স্টাম্পিং হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এমনকী, বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ডও নাকি ধোনির করা। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি সেটি গড়েছিলেন। স্টাম্প করেছিলেন মিশেল মার্শকে। রিঅ্যাকশন টাইম ছিল ০.০৯ সেকেন্ড।  

Advertisement

Kreedon.comCricfann.Com প্রকাশিত দুটো প্রতিবেদনও একই দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ তদন্তের শুরুতেই একটা তথ্য স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ডটি ধোনিই গড়েছিলেন এবং তাঁর রিঅ্যাকশন টাইম ছিল ০.০৮ সেকেন্ড। কিন্তু ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে ধোনির রিঅ্যাকশন টাইম ছিল ০.১৬ সেকেন্ডে। যা আসলে ভুল তথ্য।

লিটন দাস যদি সত্যিই ধোনির এই রেকর্ড ভেঙে দিতেন তাহলে তা ক্রীড়া জগতের একটা বড় খবর হতো। সেজন্য কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন  খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।

লিটন দাস ছাড়া ভাইরাল ছবিতে থাকা অন্য ক্রিকেটরের পোশাকের রঙ দেখে আমরা বুঝরে পারি যে, ওটি ইংল্যান্ডের সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত ম্যাচেরই স্ক্রিনশট। সেই মতো, ম্যাচ চলাকালীন ওই নির্দিষ্ট মুহুর্তটি আমরা খুঁজে বের করা চেষ্টা করি। Bangladesh Cricket : The Tigers-এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আমরা ভিডিয়োটি খুঁজে পাই।  

 

 

ভাইরাল ছবির সঙ্গে আসল ভিডিয়োতে থাকা মুহুর্তটির তুলনা করলেই দেখা যায় যে, ইংরেজিতে 'রিঅ্যাকশন টাইম ০.১৪ সেকেন্ড' লেখাটি আলাদা করে বসানো হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে জি নিউজের (বাংলা) ক্রীড়া সাংবাদিক শুভপম সাহার সঙ্গে আমার কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত ধোনির করা দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। লিটন দাসকে নিয়ে একটা গুজব রটানো হচ্ছে।

সুতরাং, সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখে এটা বলাই যায় যে, ধোনির রেকর্ড লিটন দাস ভেঙেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবিটি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। 

ফ্যাক্ট চেক

Facebook

দাবি

মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার লিটন দাস

ফলাফল

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবিটি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম স্টাম্পিংয়ের রেকর্ডটি এখনও ধোনিরই রয়েছে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Facebook
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement