
এবার মিলন উৎসব নিয়ে একটি ছবি ভাইরাল হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, "তালিকা দেখে হিন্দুস্তান নয় পাকিস্তান মনে হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, এটি মিলন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্টানের আমন্ত্রণপত্র। যেখানে উদ্বোধনী অনুষ্টানে উপস্থিত থাকবে যে বিশিষ্টরা তাঁদের একটি তালিকা দেওয়া রয়েছে। তালিকায় সিংভাগ সংখ্যালঘু বা মুসলমান সম্প্রদায়ের বলেই এই ব্যবহারকারী এই দাবি তুলেছেন।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে এই আমন্ত্রণপত্রটি পুনরায় খুঁজে বের করি। দেখা যাচ্ছে, আমন্ত্রণপত্রে যে তালিকা রয়েছে তার সঙ্গে ফেসবুকের ভাইরাল হওয়া ছবিটি হুবহু মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ, ফেসবুক পোস্টে যেটি পোস্ট করা হয়েছে সেটি মর্ফ করা নয়।
কিন্তু আমরা যে আমন্ত্রণপত্রটি খুঁজে পেয়েছি তার তলায় এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের নাম রয়েছে। বলা হচ্ছে,ডাব্লিউবিএমডিএফসি নামের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা এই উৎসবের আয়োজন করে।
এখান থেকে সূত্র ধরে আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে জানতে পারি ডাব্লিউবিএমডিএফসি আদতে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনোরিটি এন্ড ফিনান্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, যেটি সংখ্যালঘু দপ্তরের অধীনস্থ।
এর পর আমরা ডাব্লিউবিএমডিএফসি-র ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি যে সত্যিই তারা এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
সুতরাং এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর। এই উৎসব রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি ডাব্লিউবিএমডিএফসি আয়োজন করা থাকে। তাদের অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু বিশিষ্ঠজনদের উপস্থিতি বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
কটাক্ষের সুরে দাবি, তালিকা দেখে হিন্দুস্তান নয় পাকিস্তান মনে হচ্ছে।
এই উৎসব রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি ডাব্লিউবিএমডিএফসি আয়োজন করা থাকে। তাদের অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু বিশিষ্ঠজনদের উপস্থিতি বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।