scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: মাসখানেক আগে চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও সাম্প্রদায়িক দাবি-সহ ভাইরাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল করে তা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার ঘটনা বলে দাবি।

Advertisement
ভাইরাল ভিডিওটি একটি এলাকায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ভাইরাল ভিডিওটি একটি এলাকায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় নতুন করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার মধ্যেই এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একাধিক বাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তা নেভানোর চেষ্টা করছে। সেই সময়েই এই ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। 

ভিডিওটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, "ব্রেকিং নিউজ। বাংলাদেশে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা, গভীর রাতে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে পুরো এলাকায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের জেহাদী - মৌলবাদীরা।"

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির আর্কাইভ এখানেএখানে দেখা যাবে। 

ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম অনুসন্ধান করে পেয়েছে যে এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর। যে ভিডিওটি বাগেরহাট বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে তা আসলে মাসখানেক আগে ঘটে যাওয়া একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এই ঘটনাটি বাংলাদেশেরই চট্টগ্রামে ঘটেছিল। 

আফয়া তদন্ত

ইনভিড টুলের সাহায্যে ভাইরাল ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে রিভার্স সার্চ করার পর ওই একই ভিডিও আমরা অন্য কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হতে দেখতে পাই। 

দেখা যায়, ওই একই ভিডিওটি গত ১৮ মার্চ মহম্মদ নাঈম ভুঁইয়া নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। 

এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি প্রায় মাসখানেক পুরনো এবং অতি সাম্প্রতিক ঘটনার নয়। সেই ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, "সমিতির হাটে পশ্চিম পাশে কবিরাজবাড়ি প্রকাশ হিন্দু বাড়িতে আগুন।" 

Advertisement

কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, এই ঘটনাটি আসলে চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাটের কবিরাজবাড়ি হিন্দু পাড়া নামের একটি স্থানে। 

এই সম্পর্কে আরও কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করি একটি সংবাদ মাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদনও আমরা খুঁজে পাই। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত দিনে কবিরাজ বাড়ি নামের একটি স্থানে শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

প্রসঙ্গত, এ কথা সত্যি যে গতকাল, অর্থাৎ ১১ এপ্রিলই ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক হিন্দু যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে আমরা তা জানতে পারি। ঘটনার পর ওই যুবককে হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। 

যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে যে এই ঘটনার কোনও সংযোগ নেই তা এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। 

ফ্যাক্ট চেক

social media users

দাবি

বাংলাদেশে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা, গভীর রাতে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে পুরো এলাকায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

ফলাফল

সম্প্রতি বাংলাদেশের বাগেরহাটে এমন ঘটনা ঘটলেও ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মার্চ মাসে চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া একটি অগ্নিকাণ্ডের।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
social media users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement