ফ্যাক্ট চেক: প্রয়াত জুবিন গর্গের অন্তিম মুহূর্তের স্কুবা ডাইভিং-এর ভিডিও এটি নয়

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিও-র দাবি পুরোপুরি মিথ্যে। এই ভিডিওটি একজন পেশাদার স্কুবা ডাইভারের যিনি গত মে মাসেই এটি আপলোড করেছিলেন।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: প্রয়াত জুবিন গর্গের অন্তিম মুহূর্তের স্কুবা ডাইভিং-এর ভিডিও এটি নয়

শুক্রবার দুপুরে আচমকাই মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের। সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেছিলেন। স্কুবা ডাইভিং করার সময় মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যেখানে দুই স্কুবা ডাইভারকে গভীর জল থেকে উপরে উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে।

দুই ডাইভারের মধ্যে একজন আরেকজনের ঘাড় ধরে উপরের দিকে ঠেলে তুলছেন। অপর ব্যক্তি জল থেকে ওঠার সময়ই নিশ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করছেন। ছটফট করছেন। কোনও মতে জল থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই ব্যক্তি কিছুটা অচৈতন্যভাবে ঘনঘন শ্বাস ছাড়ছেন, কাতরাচ্ছেন।

ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুর অন্তিম সময়ের ছবি। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “মারা যাওয়ার আগে গায়ক জুবিন গর্গের ঠিক কি হয়েছিল দেখুন!রইল ভিডিও।”

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিও-র দাবি পুরোপুরি মিথ্যে। এই ভিডিওটি একজন পেশাদার স্কুবা ডাইভারের যিনি গত মে মাসেই এটি আপলোড করেছিলেন।

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে তা খোঁজা হলে একই ভিডিও ডেইলিমোশন নামে একটি ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। অন্তত তিন মাসে আগে এই ভিডিওটি এখানে আপলোড হয়েছিল। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে এর সঙ্গে জুবিন গর্গের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক থাকা সম্ভব না।

এখানে ভিডিওটি কবেকার বা এই স্কুবা ডাইভারদের পরিচয়ের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে ক্যাপশনে লেখা ছিল ৭৮ মিটার গভীর ডুব মারার পর ডাইভার জ্ঞান হারায়। এই বিষয়টি সূত্র ধরে কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করা হলে ওই একই ভিডিও SportsJOE.co.uk নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়। গত ১১ জুন ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এখানে এই ভিডিওটির ক্রেডিট stop.the.sun ইউজারনেমের ইনস্টগ্রাম ব্যবহারকারীকে দেওয়া ছিল।

Advertisement

এই ইউজারনেম অনুসরণ করে সার্চ করার পর Marat নামক ওই ব্যবহারকারীর প্রোফাইল আমরা খুঁজে পাই। তাঁর প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, সেখানে একাধিক স্কুবা ডাইভিং করার ভিডিও রয়েছে। তার মধ্যে সেই ভাইরাল ভিডিওটি রয়েছে যা তিনি গত ১১ মে নিজের প্রোফাইলে আপলোড করেছিলেন। ভিডিও-র ক্যাপশন পড়লে বুঝতে বাকি থাকে না, ভিডিও-র ব্যক্তি তিনি নিজেই।

তিনি লেখেন, “জ্ঞান হারিয়েছিলাম, এই প্রথম। ৭৮ মিটার গভীর থেকে উপরে উঠে এসেছি। সেফটির দায়িত্বে ছিল @gkreivenas এবং ক্যামেরায় @freelookaround। নামার গতি ধীরে রাখা এবং ৭৮ মিটারের থেকে আরও ২ মিটার বেশি নামার ইচ্ছা আমার জন্য একটা বড় ভুল ছিল। মোট ৩ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ডুব। অনেকে প্রশ্ন করেন আমি কেন প্রশিক্ষণ চলাকালীন কোনও পাখনা (fins) ব্যবহার করি না? আমি সব সময় পাখনা ছাড়াই #FIM-এর প্রশিক্ষণ নিই, কারণ প্রতিযোগিতার জন্য একই রকমভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। আপনারা কি মনে করেন এটা সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলা? না, এটা সবচেয়ে নিরাপদ খেলা। জানতে চান, কেন?”

অর্থাৎ বুঝতে বাকি থাকে না, কীভাবে এক পেশাদার স্কুবা ডাইভারের একটি বিপজ্জনক ডাইভিং-এর ভিডিও জুবিন গর্গের শেষ মুহূর্তের ভিডিও বলে ছড়ানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

 

 

ফ্যাক্ট চেক

facebook users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের মারা যাওয়ার অন্তিম মুহূর্ত।

ফলাফল

ভিডিওটি গত মে মাস থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে এবং ভিডিওটি এক পেশাদার স্কুবা ডাইভারের।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
facebook users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement