scorecardresearch
 

ফ্য়াক্ট চেক: শেখ হাসিনার রাজকীয় ভোজনের এই ছবি ভারতের নয়, এবং প্রায় পাঁচ বছর পুরনো 

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ছবিটি প্রায় পাঁচ বছর পুরনো এবং বাংলাদেশের। হাসিনার ভারতে পালিয়ে আসার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। 

Advertisement

গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ভারতেরই কোনও গোপন ডেরায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যেই হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছেন সে দেশের অন্তর্বর্তী প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই আবহে টেবিলে বলে হাসিনার রাজকীয় ভোজনের একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। 

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসিনা একটি টেবিলে বসেছেন ও অন্যান্য কয়েকজন তাঁকে খাবার পরিবেশন করে দিচ্ছেন। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতে পালিয়ে আসার পর নাকি তাঁকে এভাবেই আপ্যায়ন করা হচ্ছে। 

ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "যারা হায় হুতাশে আছেন..ঘর ছেড়ে উনি কি খাচ্ছেন কিভাবে আছেন তাদের জন্য লেটেস্ট। শশুড় বাড়িতে হাসু পাগলি আপ্যায়ন ভালোই চলতাসে, দই, লুচি, সন্দেশ, পিঠা,শুধু ইলিশ টা মিসিং!" (ক্যাপশনের বানান অপরিবর্তিত)

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ছবিটি প্রায় পাঁচ বছর পুরনো এবং বাংলাদেশের। হাসিনার ভারতে পালিয়ে আসার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি 

ভাইরাল ছবিটিকে গুগল লেন্সের মাধ্যমে খোঁজার পর আমরা ওই একই ছবি দেখতে পাই সংবাদ প্রতিদিনের একটি খবরে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশ পাওয়া এই খবরের শিরোনামে লেখা হয়, "কাঁসার বাসনে ৩১ পদে সাজানো পাত, আপ্যায়ণে আপ্লুত হাসিনা।"

বিস্তারিত খবর থেকে জানা যায়, মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভারতেশ্বরী হোমসে শহিদ দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনা। অনুষ্ঠান শেষে সেখানকার স্থানীয় কুমুদিনী পরিবারে হাসিনার জন্য খাবার আয়োজন করা হয়। যা দেখে মুগ্ধ হন হাসিনা। তাঁর জন্য ৩১ পদের বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছিল কুমুদিনী পরিবার।

Advertisement

বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ইত্তেফাকেও এই নিয়ে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেই খবর অনুযায়ী, দুপুরের খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলু ও বিভিন্ন মাছের ভর্তা, শাক, মাছ, মাংস, পোলাও, কোরমা, মুড়ি মুড়কী, বিভিন্ন পিঠা ও কাবাব-সহ ৩১ পদের বিভিন্ন খাবার। শেষপাতে ছিল দই, পায়েস। 

এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে মির্জাপুর বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে অবস্থিত। এবং এর আগে ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়েরও একইভাবে আপ্যায়ন করেছিল এই পরিবার। ফলে বুঝতে বাকি থাকে না যে বাংলাদেশের একটি পাঁচ বছর আগেকার ছবি সাম্প্রতিক ভারতের ছবি দাবি করে বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসে রাজকীয়ভাবে ভোজন সারছেন শেখ হাসিনা।

ফলাফল

ভাইরাল ছবিটি ভারতের নয়, সাম্প্রতিকও নয়। এটি ২০১৯ সালে মার্চ মাসে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তোলা।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement