ফ্যাক্ট চেক: জীর্ণ ও সন্ত্রস্ত এই বৃদ্ধের ছবিটি উত্তর কাশীর টানেল দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় 

একটি ছবিতে শ্রমিকের হেলমেট মাথায় নিয়ে এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি এমনভাবে অনেকে শেয়ার করছেন যেন এই ব্যক্তি উত্তর কাশীর টানেলে আটকে ছিলেন। 

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: জীর্ণ ও সন্ত্রস্ত এই বৃদ্ধের ছবিটি উত্তর কাশীর টানেল দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় 


অপেক্ষা দীর্ঘ ১৭ দিনের। অন্ধকার টানেলে প্রায় ৪০০ ঘণ্টা আটকে থেকে জীবন-মৃত্যুর টানাটানির পর উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশীতে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জিং উদ্ধারকাজ চলার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে।

তার মধ্যে একটি ছবিতে শ্রমিকের হেলমেট মাথায় নিয়ে এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি এমনভাবে অনেকে শেয়ার করছেন যেন এই ব্যক্তি উত্তর কাশীর টানেলে আটকে ছিলেন। 

ছবিটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, "উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪০ জন মানুষের কাছে ১৫ দিনেও পৌঁছাতে না পারলে, চাঁদে গিয়ে কি লাভ???"

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ছবিটি বেশ কয়েক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে এবং উত্তর কাশীর টানেল দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি 

ভাইরাল ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজার পর ওই একই ছবি আমরা দেখতে পাই কোওরা নামের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে। সেখানে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়েছিল তিন বছর আগে। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, "আপনারা কি এমন কোনও ছবি শেয়ার করতে পারবেন যা দেখে কান্না পাবে!" 

এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে ছবিটি কোনও ভাবেই উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়া সম্ভব নয়। 

শুধু তাই নয়, আমরা আরেকধাপ সার্চ করে দেখতে পাই যে ওই একই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২ মে। অর্থাৎ ছবিটি যে ৪ বছরেরও বেশি পুরনো, সেটা নিয়ে আর কোনও সংশয় থাকে না। 

যদিও এই ছবিটি কোথাকার, বা ছবি থাকা এই বৃদ্ধ মানুষটির কী পরিচয় সেটা আমরা জানতে পারিনি, তবে ছবিটি যে কোনও ভাবেই উত্তর কাশীর টানেলের নয় তা বুঝতে বাকি থাকে না। 

Advertisement

 

ফ্যাক্ট চেক

facebook users

দাবি

উত্তর কাশীর টানেলে আটকে থাকা শ্রমিক।

ফলাফল

এই ছবিটি প্রায় ৪ বছর ধরে ইন্টারনেটে রয়েছে এবং উত্তর কাশী দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
facebook users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement