scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: ইজরায়েল থেকে ইউরোপে পালাচ্ছেন কাতারে-কাতারে মানুষ? না, ভিডিওটি এথেন্সের

আজতক ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি ইজরায়েলের কোনও বিমানবন্দরের নয়। বরং গ্রীসের রাজধানী এথেন্স বিমানবন্দরের। 

Advertisement

পৃথিবী কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্মুখীন হতে চলেছে? ইজরায়েলের সঙ্গে প্রথমে গাজা, ও বর্তমানে লেবানন এবং ইরানের মধ্যে চলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সেই আশঙ্কাই জাগিয়ে দিয়েছে। এই আবহে একটি বিমানবন্দরে অপেক্ষারত কয়েকশো মানুষের ভিড়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি ইজরায়েলের সবথেকে বড় শহর তেল আভিভের। যেখান থেকে মানুষ কাতারে-কাতারে ইউরোপ পালাতে শুরু করেছেন। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ইজরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছে জনগণ। অন্ধভক্তরা ইজরায়েলের সাথে আছে নাকি! যাও যাও অন্ধভক্তরা যাও। তোমরা বর্তমানে এ দেশের বোঝা।" 

কেউ কেউ আবার এই একই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, "হাজার হাজার ইসরায়েলি তেল আবিব থেকে পালিয়ে ইউরোপে তাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। যারা নেতানিয়াহুর আশ্বাসে কয়েকবছর আগেই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের ঘর দখল করে থাকতে এসেছিল, তারা আবার পরিস্থিতি খারাপ দেখে পালাচ্ছে।"

আজতক ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি ইজরায়েলের কোনও বিমানবন্দরের নয়। বরং গ্রীসের রাজধানী এথেন্স বিমানবন্দরের। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এক জায়গার ফ্রেমে Athens লেখা দেখা যাবে। যা গ্রীসের রাজধানী এথেন্স শহরের নাম। এর থেকে অনুমান করা যায় যে ভিডিওটি এথেন্স বিমানবন্দরের হলেও হতে পারে। 

কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা ইউকে নিউজের ওয়েবসাইটে এথেন্স বিমানবন্দরের একটি ছবি খুঁজে পাই। যেখানে হুবহু একই জায়গায়, এবং একই ডিজাইনে লেখা রয়েছে "Love Athens." সেই সঙ্গে ওই খবরে লেখা হয় যে ইউরোপের কিছু জায়গায় আবহাওয়া বেগতিক হওয়ার কারণে গ্রীসে ছুটি উদযাপনের ক্ষেত্রে কোপ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর থেকেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে আলোচ্য ভিডিওটি কোনওভাবেই তেল আভিভ বা ইজরায়েলের কোনও বিমানবন্দরের নয়। 

Advertisement

এথেন্স বিমানবন্দরের এই ভিডিওটির সঙ্গে ইজরায়েলের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা জানতে এরপর ইংরাজিতে এথেন্স এয়ারপোর্ট ও ইজরায়েলের মতো কিছু কিওয়ার্ড আমরা সার্চ করি। তখন একই ধরনের দেখা যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদন আমরা দেখতে পাই মেহর নিউজ এজেন্সির নামে একটি ওয়েবসাইটে। ৩০ সেপ্টেম্বরের ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়, নিরাপত্তার কারণে এথেন্স বিমানবন্দর থেকে ইজরায়েল যাওয়ার বিমান বাতিল হলে সেখানে ইজরায়লি যাত্রীরা আটকে ছিল। 

একই ধরনের আরেকটি খবর দেখতে পাওয়া যায় একটি হিব্রু নিউজ রিপোর্টে। যেখানে লেখা হয়, ইহুদি নববর্ষ উদযাপনের জন্য ইজরায়েলের নানা দেশে বসবাসকারী নাগরিকেরা ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ইরানের মিসাইল হামলার দরুন নিরাপত্তার কারণে বেশিরভাগ ইজরায়েলগামী বিমান বাতিল হয় অধিকাংশ বিমানবন্দর থেকে। তাই বিমানবন্দরেই নববর্ষ কাটাতে হয় ইজরায়লিদের। 

যদিও এ কথা সত্যি যে ইজরায়েলের সঙ্গে গাজার হামাস বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কিছু ইজরায়লি মানুষ দেশ ছাড়া শুরু করেছেন। তবে এই ভিডিওর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। 

যদিও ভাইরাল ভিডিওটি ঠিক কোন সময়ের তা নির্ধারণ করা যায়নি। তবে এটি যে তেল আভিভ নয় বরং গ্রীসের রাজধানী এথেন্স বিমানবন্দরের তা বুঝতে বাকি থাকে না। 

 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইজরায়েলের সবথেকে বড় শহর তেল আভিভ থেকে কীভাবে কাতারে-কাতারে মানুষ ইউরোপ পালাচ্ছে। 

ফলাফল

আলোচ্য ভিডিওটি তেল আভিভ নয়, বরং গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের বিমানবন্দরের। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement