ফ্যাক্ট চেক: ভাইরাল ভিডিয়োটি হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি সেনা কর্তাদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ালো ভুয়ো তথ্য

ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ধৃতদের।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: ভাইরাল ভিডিয়োটি হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি সেনা কর্তাদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ালো ভুয়ো তথ্যভাইরাল ভিডিয়োটি হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি সেনা কর্তাদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ালো ভুয়ো তথ্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে যে, সেটি হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি সেনাকর্মীদের ভিডিয়ো। ভিডিয়োতে বেশ কয়েকজন আহত লোককে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, "হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা মোসাদের কর্মকর্তারা রয়েছেন যারা হামাসের হাতে বন্দী।#আল-আকসা_মিডিয়া হামাস যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে সেখানে ইসরায়েলি সামরিক ও মোসাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হামাসের কারাগারে রয়েছেন।" (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম তদন্ত করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ধৃতদের।

কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?

ভাইরাল ভিডিয়োটির একটি কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ২০১৬ সালে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম DailyMail-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আমাদের নজর পড়ে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োতে বন্দি অবস্থায় যাদের দেখা গিয়েছে, তারা সকলেই তরস্কের সেনা কর্তা। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে তাদের বন্দি করা হয়। ভিডিয়োটি তুরস্কের আঙ্কারার একটি পুলিশ স্টেশনে তোলা হয়েছিল।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমেও ওই সময় খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।

২০১৬-র তুরস্কে ব্যর্থ অভ্য়ুত্থান কী?

২০১৬ সালে তুরস্ক সেনার একাংশ তৎকালীন সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষেছিল। সেই মতো ওই বছরের ১৫ জুলাই হঠাৎ করেই সেনার একাংশ রাস্তায় নামে। তুরস্কের সংসদেও হামলা চালানো হয়। যদিও সাধারাণ মানুষ, সরকারের পাশে থাকা সেনা ও পুলিশের প্রতিরোধে সেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।  

সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ধৃতদের।

ফ্যাক্ট চেক

Facebook Users

দাবি

হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন, যারা হামাসের হাতে বন্দি।

ফলাফল

ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ধৃতদের।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Facebook Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement