ফ্যাক্ট চেক: চিনের সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে শিশুর বিপদে পড়ার ভিডিও ছড়ালো দীঘার ঘটনা বলে

আজতক ফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল এই ভিডিওটি দীঘার নয়, পশ্চিমঙ্গেরও নয়। এটি মাসছয়েক আগেকার চিনের একটি ঘটনা।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: চিনের সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে শিশুর বিপদে পড়ার ভিডিও ছড়ালো দীঘার ঘটনা বলে

দক্ষিণবঙ্গের বাঙালির পছন্দের পর্যটনস্থল হলো দীঘা। তবে সেখানে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে দুর্ঘটনাও ঘটে অহরহ। এ বার এমনই একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে তা দীঘার ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই ভিডিওতে কয়েকজনকে সমুদ্রের তটে স্নান করতে দেখা যাচ্ছে। সেই সময় তীব্র জলোচ্ছ্বাস ও বড় আকারের ঢেউয়ের ধাক্কায় এক শিশু অন্যদিকে ভেসে চলে যায়। তখন পাশে থাকা কয়েকজন ছুটে গিয়ে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "যারা ছোট বাচ্চা নিয়ে দীঘায় যান তাদের জন্য।" ভিডিওটির মধ্যে লেখা ছিল, "দেখুন দীঘায় কি ভয়ংকর ঘটনা।"

আজতক ফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল এই ভিডিওটি দীঘার নয়, পশ্চিমঙ্গেরও নয়। এটি মাসছয়েক আগেকার চিনের একটি ঘটনা।

যেভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে কিফ্রেম সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ওই একই ভিডিওটি একটি এক্স হ্যান্ডেলে পাওয়া যায় যা ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর পোস্ট করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনাটি কোথাকার সেই বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি। কিন্তু আসল ভিডিওটি উল্টে দিয়ে তা দীঘার বলে লিখে শেয়ার করা হচ্ছে, সেটা বোঝা যায়। 

এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয় বরং অন্তত ছয় মাস পুরনো।

এই একই ভিডিও আবার Amazing Taishun নামের একটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেও দেখতে পাওয়া যায়। তাইশুন হলো চিনের ঝেইজিয়াং প্রভিন্সের একটি কাউন্টি বা প্রদেশ। এই হ্যান্ডেলটি সাধারণত চিনের ভিডিও পোস্ট করে থাকে। যা থেকে অনুমান করা যায় যে ভিডিওটি চিনের হতে পারে।


এই বিষয়টিকে সূত্র ধরে চিনা ভাষায় কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করলে আমরা দেখতে পাই এই ঘটনাটির ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে একাধিক চিনা নিউজ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। এই রিপোর্টগুলি অনুযায়ী, ঘটনাটি ২ অক্টোবর ফুজিয়ান প্রদেশের শিয়ামেনের অন্তর্গত হুয়াংচুয়ো বিচে ঘটে।

Advertisement

এই রিপোর্টগুলিতে লেখা হয়, ২ অক্টোবর মিস্টার ঝুয়ো নামের এক ব্যক্তির কন্যা আচমকাই জলের দাপটে ভেসে যেতে শুরু করে। তখনই গুয়ান ইংকুন নামের এক ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে ওই শিশুকন্যার প্রাণ রক্ষা করেন। তিনি পেশায় একজন ট্রাভেল ফটোগ্রাফার এবং এই ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী একটি রেস্তোরাঁয় তিনি খাবার খাচ্ছিলেন। মেয়েটিকে ডুবতে দেখে তিনি ছুটে আসেন।

গুয়ান ইংকুন ছাড়াও লিং জিয়াংহুয়াং নামের আরেক ব্যক্তি, যিনি ওই বিচে একটি দোকান চালান, তিনিও বিপদে পড়া ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করতে ছুটে যান এবং ওই দুই ব্যক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন ভর্তি থাকার পর প্রাথমিক শুশ্রুষা করে মিস্টার ঝুয়োর কন্যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অর্থাৎ এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় কীভাবে চিনের একটি দীঘার দৃশ্য বলে দাবি করা হচ্ছে।

ফ্যাক্ট চেক

facebook users

দাবি

দীঘায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দীঘার তটে একটি মেয়ের ডুবে যাওয়ার মুহূর্ত।

ফলাফল

ভিডিওটি দীঘা নয় বরং চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের শিয়ামেনের অন্তর্গত হুয়াংচুয়ো বিচের। ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
facebook users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement