ফ্যাক্ট চেক: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে শিশুদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে? না, দাবিটি মিথ্যে

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি আফগানিস্তানের এবং বছর দশেক আগের একটি আল জাজিরার ডকুমেন্টারি থেকে নেওয়া।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে শিশুদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে? না, দাবিটি মিথ্যে

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে কয়েকজন সারিবদ্ধ শিশুকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার জন্য বাংলাদেশে শিশুদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

১১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মুখে কালো কাপড় ঢেকে রাখা এক ব্যক্তি এক শিশুকে বন্দুক হাতে তুলে তা চালানো শেখাচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “দেখুন কিভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার। "সন্ত্রাসী জঙ্গি জামাত -শিবিররা ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে এনেছে। বিশেষ কয়েকটি মাদ্রাসায় জঙ্গি ট্রেনিং শুরু করেছে। ছোট ছোট নাবালক শিশুদেরকেও তারা ট্রেনিং দিচ্ছে। ৫ -আগস্ট থানায় হামলা করে হাজার হাজার অস্ত্র লুটপাট করে সেই অস্ত্র দিয়ে গোটা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। এবং বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ক্রমশই ধাবিত করছে।”

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি আফগানিস্তানের এবং বছর দশেক আগের একটি আল জাজিরার ডকুমেন্টারি থেকে নেওয়া।

সত্য উন্মোচন

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ওই একই ক্লিপ পাওয়া যায় আল জাজিরার একটি ডকুমেন্টারি ভিডিওতে। “ISIL and the Taliban | Featured Documentary” শিরোনামের এই ডকুমেন্টারি আল জাজিরার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর।

এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভিডিওটির সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়। আল জাজিরার ৪৭ মিনিট দীর্ঘ এই তথ্যচিত্রের ৪৬ মিনিটের পরবর্তী অংশে ভাইরাল ক্লিপের অংশটি দেখা যাবে।

এই তথ্যচিত্রের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, বছর দশেক আগের এই তথ্যচিত্রটি আফগানিস্তানের। সেই সময় দেশটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) আধিপত্য বিস্তারের জন্য তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।

Advertisement

এই ভিডিও-র ক্যাপশন থেকে আরও জানা যায় যে, উক্ত সময় আফগানিস্তানের আলাদা-আলাদা সাতটি জায়গায় আইএসআইএল বাহিনী নিজেদের শিবির বানিয়ে তথাকথিত ‘খিলাফতের’ উদ্দেশে যুবক এবং শিশুদেরর প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিল।

অর্থাৎ বুঝতে বাকি থাকে না যে ১০ বছর আগেকার আফগানিস্তানের একটি তথ্যচিত্র সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ঘটনা বলে পোস্ট করা হচ্ছে যা বিভ্রান্তিকর।

 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে বাংলাদেশের শিশুদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

ফলাফল

ভাইরাল দাবিটি ভিত্তিহীন। এই ভিডিও ২০১৫ সালের আল জাজিরার একটি তথ্যচিত্রের অংশ যা আফগানিস্তানের সেই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement