সারা দেশে বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এবং এই রাজ্যেও তার প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। এমনই সময় উঠে এলো এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যেখানে বলা হচ্ছে যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বেশি কর আদায় করছে গ্যাস সিলিন্ডারের দামের ওপর ।
বনশ্রী বসু নামক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই পোস্টটি করে দাবি করেছেন যে রাজ্য সরকার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির জন্যে দায়ী । পোস্টের আর্কাইভ আপনারা দেখতে পাবেন এখানে ।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর। জি.এস.টি কর ব্যবস্থার আওতায় আসে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম, সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র একই পরিমান কর আদায় করে।
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ওপর 5% জি.এস.টি বসানো হয়েছে। এই 5% জি.এস.টি সমান ভাবে ভাগ হয় রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকারের মধ্যে। এই পোস্টের যে তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে সেটা কোনো বিশেষ রাজ্যের কথা বলছেনা। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন হয়, তার পিছনে আরও অন্যান্য কারণ থাকে যেমন, যান পরিবহনের খরচ ইত্যাদি। এই বিষয় নিয়ে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন আপনারা দেখতে পাবেন এখানে।
এলপিজির দাম ঠিক করার পেছনে ইম্পোর্ট প্যারিটি প্রাইস (আই. পি. পি) ফর্মুলা ব্যবহৃত হয়। বিদেশ থেকে কেনার দাম ধরার পর তার ওপর শিপিং এবং অন্যান্য আরো মূল্য বসানো হয়। তার পরেই চূড়ান্ত দামকে ঘোষণা করা হয়। ভারত সরকার প্রত্যেক মাসে গ্যাসের দাম সংশোধন করে।
ভাইরাল পোস্টে দাবী করা হয়েছে এলপিজি ডিলারদের কমিশন সিলিন্ডার প্রতি ৫ টাকা ৫০ পয়সা। ২০১৯ সালের এক কেন্দ্রীয় সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী হচ্ছে সিলিন্ডার প্রতি 61 টাকা ৮৪ পয়সা।
এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে পোস্টে যে দাবি করা হয়েছে সেটা একেবারেই ভুল ।
রান্নার গ্যাসের ওপর রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে বেশি কর আদায় করে।
জি.এস.টি কর ব্যবস্থার আওতায় আসে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম, সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র একই পরিমান কর আদায় করে।