সম্প্রতি বাঘের আক্রমণে একজন মানুষের প্রাণ হারানোর এক মর্মান্তিক ভিডিও সুন্দরবনের নামে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে চারটি বাঘকে একজন মানুষকে আক্রমণ করে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। আতংকিত কিছু মানুষের চিৎকার শোনা যাচ্ছে ভাইরাল ভিডিওতে। ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে " সুন্দরবন মৈইপীঠ এর ঘটনা"। ভিডিওটি হোয়াটসাপেও ভাইরাল হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) খুঁজে পেয়েছে ভাইরাল ভিডিওটি সুন্দরবনের নয়। এই ঘটনাটি ২০১৭ চীনের একটি চিড়িয়াখানায় ঘটে।
আমরা জানতে পারি যে এই ভাইরাল ভিডিওটি এর আগে ২০১৯ সালে ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। তখন বেশ কিছু ব্যবহারকারী ভিডিওটি পোস্ট করে লেখেন ওডিশার দারিংবাড়ি এলাকায় পিকনিক করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হন মানুষ।
আমরা রিভার্স ইমেজ সার্চের সাহায্যে ভাইরাল ভিডিওটির আসল তথ্য জানতে পারি। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নিউজ ট্যাবলয়েড এবং ওয়েবসাইটে খুঁজে পাই এই ভাইরাল ভিডিওর বিভিন্ন ছবি।
"দ্য সান" এবং " মেট্রো" ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে এই ভাইরাল ভিডিওটির বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের মোতাবেক, পূর্ব চীনের জেজিয়াং অঞ্চলে নিংবো শহরের ঘটনা এটি।
জ্যাং নামের এক চল্লিশ বছরের ব্যক্তি টিকিট না কেটে পাঁচিল টপকে এংগোর চিড়িয়া ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপরই সেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সে চারটি ক্ষুদার্ত বাঘের সামনে গিয়ে পড়ে। তার স্ত্রী এবং সন্তানের সামনেই বাঘে তাকে টেনে নিয়ে যায় এবং বাঘের আক্রমণে তার প্রাণ যায়। চিড়িয়া ঘরের সুরক্ষা কর্মীরা গুলি চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারে নি।
এই মর্মান্তিক ভিডিওটি সেই সময় থেকেই ভাইরাল হয়ে যায়। সুতরাং এই ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে সুন্দরবন বা ওডিশার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি চীনের একটি চিড়িয়াখানার ২০১৭ সালের ঘটনা।
বাঘের আক্রমণে একজন মানুষের প্রাণ হারানোর এই মর্মান্তিক ভিডিও সুন্দরবনের।
এই ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে সুন্দরবন বা ওডিশার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি চীনের একটি চিড়িয়াখানার ২০১৭ সালের ঘটনা।