
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এবার মহিলাদের কর্মসংস্থান নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, "কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি মহিলাদের কর্মসংস্থানে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে।"
একই দাবি সহ পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে ও এখানে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে এই ভাইরাল প্রতিবেদনটির দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখি যে এই বিষয়টি সত্যি কিনা।
দেখা যাচ্ছে, মিলেনিয়াম পোস্ট ২৪শে মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, "সিএমএআই, অর্থাৎ সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমি, একটি রিপোর্টে জানিয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে। এই তালিকায় বাংলা শীর্ষ স্থানে রয়েছে।"
অর্থাৎ, এই ফেসবুক পোস্টের দাবি সত্যি।
বিষয়টিকে আমরা আরও নিশ্চিত করতে এরপর আমরা সিএমআইই-র ওয়েবসাইটে গিয়ে মূল রিপোর্টটি খুঁজে বের করি।
সেই রিপোর্টে চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি ৪৩.৯১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু, মহারাষ্ট্র ও তেলাঙ্গানাতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে মহারাষ্ট্রে ৮৪.৩৩ লক্ষ মহিলার এবং তেলঙ্গানাতে ৫১.০১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সিএমআইই-র বিষয়ে আরও একটি তথ্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে পরিষ্কার বলা হচ্ছে যে সংস্থাটি বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত মালিকানার অধীনে। অর্থাৎ, এই রিপোর্টকে কোনও মতেই কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলা যায় না।
সুতরাং, এই পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি মহিলাদের কর্মসংস্থানে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি মোট ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই তালিকার শীর্ষে নেই। মহারাষ্ট্র ও তেলাঙ্গানা এক্ষত্রে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের থেকে। দ্বিতীয়ত, এই রিপোর্টটি তৈরি করছে, সিএমআইই বা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমি। এটি সরকারি বা আধা সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি বেসরকারি ব্যাক্তিগত মালিকানার অধীনস্থ সংস্থা।