করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তবে বর্ষা-বাদলায় আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নানা ভাইরাল জ্বর। ভাইরাল জ্বরে কাবু এ রাজ্যের আট থেকে আশির কয়েকশো মানুষ। কিন্তু পুরকর্তা আর রাজ্যের প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে উপসর্গহীন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া।
কলকাতাতেও উপসর্গহীন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় অনেকের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এর মধ্যেই শহরে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রাস এডিস ভিট্টাটাস প্রজাতির মশা! সম্প্রতি এই কলকাতা প্রজাতির মশার খোঁজ পেয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা।
কেন এই এডিস ভিট্টাটাস প্রজাতির মশা নিয়ে এত ভয় পাচ্ছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা? আসলে এই এডিস ভিট্টাটাস প্রজাতির মশাই দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়মিত পীতজ্বরের অন্যতম কারণ। তাছাড়া ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসের অন্যতম বাহকও এই মশা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ত্রাস ছড়ানো সেই মশারই হদিশ মিলেছে খাস কলকাতায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সারা বছর ধরেই এই এডিস ভিট্টাটাস প্রজাতির মশা বংশবিস্তার করে। ইট, পাথরের খাঁজে জমে থাকা সামান্য জলই এদের বংশবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। সবচেয়ে চিন্তার বিশষ হল, এই প্রজাতির মশা ৪০-৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও অনায়াসে টিকে থাকতে পারে, ডিম পাড়তে পারে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আট মাসে শহরে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ম্যালেরিয়ায়। শহরে উপসর্গহীন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার নেপথ্যে এই এডিস ভিট্টাটাস প্রজাতির মশার কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফ্রিকা, এশিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এই প্রজাতির মশা। কলকাতাতেও হয়তো আগে থেকেই ছিল এই মশা। তবে এই প্রজাতির মশা শনাক্ত করার পরিকাঠামো আগে ছিল না। সম্প্রতি সেই ব্যবস্থা হওয়ায় এডিস ভিট্টাটাসের হদিশ মিলেছে।