বছর ঘুরলেই ভোট। বাংলাকে বিশেষ নজর দিচ্ছে বিজেপি। এ হেন সময়ে পশ্চিমবঙ্গে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে আসছে। বিশেষ করে অন্যদল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের সঙ্গে দলের পুরনো নেতাদের তিক্ততা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। যেমন পুজোর শুরুতেই সরাসরি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাগ প্রকাশ করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্রর বক্তব্য, 'বিরোধ মিটতে তো ১ মিনিট লাগে। বাংলা থেকে তৃণমূলকে হঠানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই কোনও সমস্যাই নেই।' সৌমিত্র খাঁ বিজেপির যুব সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দিলীপের সঙ্গে মতভেদ প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রথমে যখন জেলাসভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তখনই বিরোধিতা করেন দিলীপ।
সৌমিত্রর সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। দিলীপকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চান সৌমিত্র। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিষ্ণপুরের সাংসদের তিক্ততা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। বিতর্ক বাড়ে, যখন পুজোর শুরুতেই সৌমিত্র যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগ ঘোষণা করে গ্রুপ ত্যাগ করেন।
পুজো শেষে বিজয়াতে সৌমিত্র নিজেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে বিবাদ মিটিয়ে নিলেন। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সাত সকালে সৌমিত্র পৌঁছে যান নিউটাউনে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। দু'জনে একে অপরকে উপহারও দেন।
বিজেপির যুব মোর্চার জেলা কমিটিগুলি ভেঙে দিয়েছিলেন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী সৌমিত্র খাঁর বাছা জেলা সভাপতিদেরও বরখাস্ত করেছিলেন তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই চরমে ওঠে বিজেপির নব্য় বনাম পুরোতনের দ্বন্দ্ব। নিয়ম অনুসারে, যুব মোর্চার সভাপতি হওয়ার ফলে কমিটি বা জেলার সভাপতি নির্বাচন করতে পারেন সৌমিত্র খাঁ। যদিও কেন দিলীপ ঘোষ এই কমিটি ভেঙে দেন তা নিয়ে দলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।