
বুধবারের তাপমাত্রাকে টেক্কা দিয়ে মরশুমের শীতলতম দিনের তকমা ছিনিয়ে নিল বৃহস্পতিবার। এদিন কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.২ ডিগ্রি কম। এটিই এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম দিন। যদিও শীতের এন্ট্রি এখনও হয়নি এ রাজ্যে। তা সত্ত্বেও শীতের আমেজ পেয়ে চনমনে শীতপ্রেমীরা।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ দিন দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে থাকবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ। নতুন করে কোনও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশও ঘটবে অবাধ।

হাওয়া অফিসের বৃহস্পতিবার দুপুরের বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ২-৩ দিন সার্বিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন আসবে না। প্রথমে ৩ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (রাতের) স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নামবে। পরের ২ দিন রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। তবে ফারাক আসবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। যা স্বাভাবিকের থেকে নীচেই থাকবে।

বৃহস্পতিবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির কোঠায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৯ শতাংশ। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

দক্ষিণবঙ্গে আপাতত শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে। তাপমাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন আসবে না আগামী ২ থেকে ৩ দিন। সকালের দিকে একাধিক জেলায় দেখা যাচ্ছে কুয়াশা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে দৃশ্যমানতাও।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনে খুব একটা বেশি তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই কনকনে শীতের পরশে খুশি শীতপ্রেমীরা। সকালে উত্তুরে হাওয়া এবং পারদ পতন চলছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা জুড়েই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার পারদ এখন পাহাড়ি জেলা কালিম্পংয়ের থেকেও কম।

বুধবার গভীর রাতে কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অথচ বীরভূমের সিউড়িতে তা নেমেছে ১৪.২ ডিগ্রিতে। পুরুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ১৫ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১৫.১ এবং কল্যাণীতে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের জেলায় কনকনে শীতের আমেজ তৈরি হতে পারে বলেই অনুমান আবহাওয়াবিদদের একাংশের। সেক্ষেত্রে পারদ পতন রেকর্ড ব্রেক করে কি না, সেটাই এখন দেখার।