
আগামী সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়? IMD জানিয়েছে, শনিবার একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। যা সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এই নিম্নচাপ অঞ্চলটি মালাক্কা প্রণালীর মধ্যবর্তী অংশের উপর দিয়ে উচ্চবায়ু সম্পন্ন ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের ফলে উদ্ভূত হয়েছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

শুক্রবার প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, IMD জানিয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা।

স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে দক্ষিণ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর নিম্ন ও মাঝারি মাত্রায় মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরেও ঘনীভূত হচ্ছে মেঘ।

IMD-র সাইক্লোজেনেসিস প্রোবাবিলিটি চার্টে দেখা যাচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হবে না। তা তৈরি হতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সর্বাধিক দেরি হলে ১৪৪ থেকে ১৬৮ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হবে নিম্নচাপটি।

এই নিম্নচাপ কি পরবর্তীতে সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে? ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর মনোরমা মোহান্তি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত একটি নিম্নচাপের পূর্বাভাস রয়েছ। নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এটি সম্পর্কে পরবর্তী আপডেট দেওয়া যাবে।'

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে দক্ষিণ উপদ্বীপীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পূর্ব অনুমোদিত তালিকা অনুসারে, উত্তর ভারত মহাসাগরে পরবর্তী যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হবে সেটির নাম হবে ‘সেনইয়ার’।

এদিকে, ভোরের দিকে কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গেই কিছুদিন ধরে পাল্লা দিয়ে পারদ নামছিল। তবে আচমাই গোঁত্তা খেল শীত। গত দু'দিন ধরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় পার ঊর্ধ্বমুখী। তার মধ্যই আবার নিম্নচাপের চোখরাঙানি চলছে বঙ্গোপসাগরে। শুক্রবার IMD-র পূর্বাভাসে মনখারাপ শীতপ্রেমীদের।

নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে কোনও কোনও রাজ্যে। তাতে রয়েছে ওড়িশা। ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকায় ধান পেকে গিয়েছে। তবে বৃষ্টি কিংবা নিম্নচাপের পূর্বাভাসের পর ওড়িশায় নতুন করে কৃষকদের জন্য কোনও সতর্কবার্তা জারি করেনি আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সবেমাত্র একটু হিমেল আমেজ উপভোগ করতে শুরু করেছিল বাংলা। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে সেই আমেজ ভেস্তে যেতে পারে আগামী নভেম্বরের শেষ কয়েকটা দিনে। জুন থেকে শুধু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পর্ব। চলেছিল অক্টোবরের একেবারে শেষ পর্যন্ত। মানুষ চাইছিলেন বিদায় নিক বৃষ্টি। ফলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে, শীতপ্রেমীদের আশঙ্কা বৃষ্টি শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে।