দিন কয়েক আগে কলকাতার ময়দান এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তা ঠেকাতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। রাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সব ছবি কলকাতা পুলিশের টুইটার থেকে নেওয়া।
এবার মানুষকে ভরসা জোগাতে সকালে ওই এলাকায় পৌঁছে গেলেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। সাইকেলে চেপে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। সেখানে তিনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। ময়দান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণের জন্য অনেক মানুষ যান।
ময়দানের ছিনতাইয়ের ঘটনার পর ভোরের শহরে নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার কলকাতার সব থানাকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। শনিবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানার ওসি এবং অ্যাডিশনাল ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
রবীন্দ্র সরোবর, ঢাকুরিয়া লেক, ময়দান সহ একাধিক পার্ক এলাকায় পুলিশের নজরদারি এবং পেট্রোলিং বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেন সিপি। পুলিশ সূত্রে খবর, বৈঠকে পুলিশ কমিশনার মন্তব্য করেন, পুলিশকে আরও বেশি দৃশ্যমান হতে হবে। রাস্তায় বেরিয়ে যেন পুলিশকে খালি চোখে দেখা যায়। কারণ পুলিশকে দেখলে নাগরিকরা মনে সাহস পান। পুলিশ- শূন্য রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে শহরবাসী। তাই পুলিশকে আরো বেশি করে রাস্তায় থাকতে হবে। যাতে কোনও অপরাধ ঘটলেই দ্রুত পুলিশের নজরে আনা যায়।
এর আগেও মানুষের মনোবল বাড়াতে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন অংশে তুলে দেওয়া হয়েছে মাস্ক। প্রবীণদের পাশে থাকার জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
দিন কয়েক আগে ময়দান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণের করতে গিয়ে ছিনতাইবাজের কবলে পড়েন পরপর ৩ জন। যাঁদের মধ্যে একজন বাধা দিতে গিয়ে কাটারির কোপে গুরুতর জখম হন। একটি স্কুটি করে দুজন দুষ্কৃতী এসে ছিনতাই এবং হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।