Monsoon Departure: অবশেষে বাংলা থেকে বিদায় নিল বর্ষা। সরকারি ভাবে শনিবার ২৩ অক্টোবর বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিল। এই দিনটা হওয়ার কথা ছিল আবহাওয়াবিদরা আগেই অনুমান করেছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন সে কথা।
দেখা গেল তাদের কথাই মিলে গেল। এ বছর বর্ষার বিদায় একটু পিছিয়েছে। সে কথাও আগেই জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা।
বর্ষা বিদায় নিতে দেরি করায় তার প্রভাব পড়েছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয়। দুর্গাপুজার বিভিন্ন দিনে বৃষ্টি হয়েছে। তবে একটাই বাঁচোয়া প্রবল বৃষ্টি হয়নি। আর তাই পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে যায়নি।
Southwest Monsoon has further withdrawn from remaining parts of West Bengal. Details of message is attached. pic.twitter.com/RqwxRxJqdj
— IMD Kolkata (@ImdKolkata) October 23, 2021
এ কথা খুবই সত্যি ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বা তারই অঙ্গরাজ্য বাংলার মানুষ গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর অপেক্ষায় থাকেন বর্ষার জন্য।
প্রবল গরমের মাঝে বৃষ্টি শান্তি বয়ে আনে যেন। তাপমাত্রা এক ঝটকায় অনেকটাই নামিয়ে দেয়। তেমনই উপকার হয় ফসল, চাষবাসে।
আর তা হল নদীর জল বেড়ে যাওয়া এবং তার ফলস্বরূপ প্লাবন-বন্যা। যেমনটা এবার হয়েছিল। জল জমে নাজেহাল হয়ে যাওয়া মানুষের জীবন।
বন্যা বা প্লাবন হলে একরের পর একর চাষের জমি, গ্রামের পর গ্রাম উজড়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় ফসল জীবন, প্রাণহানি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দক্ষিণবঙ্গ বিপর্যস্ত হয়েছে প্রবল বৃষ্টি এবং নদীর জলের কারণে। কলকাতার বহু অংশে দিনের পর দিন জলে জমে নাকাল হয়েছেন সেখানকার মানুষ।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক প্রকৃতির। সেখানকার সব জেলায় একই ছবি থাকার কথা।
উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির আবহাওয়া আগামী কয়েকদিন শুষ্ক প্রকৃতির থাকবে।
শুক্রবার তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।