Weather Update : আন্দামানে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, অষ্টমী থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা

Weather Update: পুজোয় বৃষ্টি হবে কি হবে না, এটাই রাজ্যবাসীর কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন। কারণ বৃষ্টি হলে আনন্দ মাটি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সবাই তাকিয়ে আকাশের দিকে। আবাহওয়াবিদরা কী জানাচ্ছেন, জেনে নিই।

আবাহওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগের থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি অনেক কমে গেছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। ফলে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে।

যেখানে বজ্রগর্ভ মেঘ হবে, বিশেষ করে উপকূলের জেলাতে। যদিও ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হবে।

১০ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। খানিকটা গভীর হতে পারে।

৪-৫ দিন পর তারপর ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বৃষ্টি বাড়তে পারে ১৩, ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর। ফলে উপকূলের জেলাগুলোতে হালকা বৃষ্টি হবে। পশ্চিমের জেলাগুলোতে ও হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।

উত্তরবঙ্গের কথা যদি বলি, সম্ভাবনা কম। শুক্র এবং শনিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তারপর শুষ্ক।

১২ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকবে। ১৩ তারিখ থেকে উপকূলের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি, পশ্চিমের জেলায় হালকা বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে শুষ্ক।

কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।

বৃষ্টিপাত অনেকটা কমে গিয়েছে। আগামী ৩-৪ দিন দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের জেলাগুলোতে তার সম্ভাবনা বেশি। 

তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকছে। এই ছবি পূর্ব ভারতে। সেখানে তাপমাত্রা সামান্য বাড়ছে।

এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, ৬ অক্টোবর বর্ষা বিদায় শুরু দেশে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। বাংলায় বর্ষা-বিদায় নেয় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এ বছর তা কিছুটা পিছবে বলেই আশঙ্কা। আর তা যেন সত্যি হতে বসেছে।

গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ বৃষ্টি হয়েছে। আর এর জেরে সমস্যাও কম হয়নি। অনেক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। অনেক জায়গায় এখনও জল নামেনি। বাইরের বাইরে বেরোতে পারছেন না অনেকে। সেই সব না হয় মেনে নেওয়া গেল।

তবে উৎসবের সময় বৃষ্টি হলে সকলেরই মনখারাপ হয়ে যাবে।

তাই সবার প্রার্থনা বৃষ্টি যেন না হয়। যাতে মানুষ আনন্দে ভাসতে পারেন, বৃষ্টিতে না!