২১শে জুলাই শহিদ দিবস (21 July)। দূরের জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকদের আসা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভিড় হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসা শুরু হয়ে গেছে। তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত থাকছেন তৃণমূল নেতারা। বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাসে করে (21 July) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে।
সেখানেই তাঁদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যে সমস্ত কর্মী সমর্থক হাওড়ায় আসবেন তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেনে। সেখানে রাত্রিযাপন করে শুক্রবার একুশে জুলাই সকালবেলা তাঁরা রওনা দেবেন ধর্মতলার দিকে।
২১শে জুলাইয়ের ভিড় সামলাতে প্রস্তুত হাওড়া সিটি পুলিশ। এদিন হাওড়া স্টেশন চত্বর ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। সঙ্গে ছিলেন অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। ওইদিন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি লঞ্চঘাট ও পার্শ্ববর্তী এলাকা সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে বলে জানান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ভিড় । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করে । জেলা থেকে একে একে কর্মী সমর্থকরা আসছেন । পঞ্চায়েতে ব্যাপক সাফল্যের পর মেগা ইভেন্ট তৃণমূল কংগ্রেসের । দলের তরফে আগেই ২১ জুলাই বিজয় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল । সেই মেগা ইভেন্ট উপলক্ষে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা।
শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) চত্বরে সেই ছবি দেখা গেল । সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করে । জেলা থেকে একে একে কর্মী সমর্থকরা আসছেন । স্টেশন চত্বরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে বাস । বাসের সামনে লেখা ধর্মতলা চলো। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ট্রেন থেকে নামার পর দলে দলে ওই বাসগুলিতে করেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা। এদিকে, নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা । জানা গিয়েছে, একাধিক টিম গঠন করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।