Abhishek Banerjee: অভিষেকের নাম করে ৫ লক্ষ চেয়ে পুরপ্রধানকে হুমকি-ফোন, গ্রেফতার ৩, যোগ BJP বিধায়কের?

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতা নেতা ও কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ধৃত ৩ যুবক। কলকাতার এমএলএ হোস্টেল থেকে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ এই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement
অভিষেকের নাম করে ৫ লক্ষ চেয়ে পুরপ্রধানকে হুমকি-ফোন, গ্রেফতার ৩, যোগ BJP বিধায়কের?অভিষেকের নাম করে পুরসভার চেয়ারম্যানের থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি, ধৃত ৩
হাইলাইটস
  • রুমটি ইমরান শেখের নামে বুক করেছিলেন কোচবিহারের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে
  • বিজেপি বিধায়ক ও ইমরান শেখের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতা নেতা ও কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ধৃত ৩ যুবক। কলকাতার এমএলএ হোস্টেল থেকে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ এই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাদের এমএলএ হোস্টেলের একটি ঘরে রাখা হয়েছিল, যা কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বুক করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিধায়কের ভূমিকা তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে ২৪ ডিসেম্বর এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আনন্দ দত্তের সঙ্গে। আনন্দ দত্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি-তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। পুলিশ সূত্র বলছে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের পদস্থ কর্মী বলে পরিচয় দেন। এছাড়াও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন ভয় দেখিয়ে।

চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত গোটা ঘটনার বিষয়ে দলকে জানান। কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন যে দুর্বৃত্তদের ফাঁদে পড়েছেন। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ মামলা রুজু করে। এরপরেই পুলিশ জাল পাতে। পরিকল্পনা অনুসারে, আনন্দ দত্ত অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এরপরেই তাঁকে কলকাতায় এমএলএ হোস্টেলে আসতে বলা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনন্দ দত্ত এমএলএ হোস্টেলে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিভিল ড্রেসে থাকা শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ অফিসাররা। ওখান থেকেই তিন যুবককে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক ও শেখ তসলিম। তিনজনকেই আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, এমএলএ হোস্টেলের গেস্ট রুমটি ইমরান শেখের নামে বুক করেছিলেন কোচবিহারের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। বিজেপি বিধায়ক ও ইমরান শেখের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement