Kolkata News: বৃষ্টির জল ঘরে, খাট থেকে পড়ে মৃত্যু বিরাটির ৫ মাসের শিশুকন্যার

অতিবৃষ্টিতে কলকাতার অধিকাংশ এলাকা এখনও জলমগ্ন। জল নামেনি বহু অংশে। অপেক্ষাকৃত নীচু বিরাটির দেবীনগর অংশে ঘরে ঘরে জল ধুকে রয়েছে। সেইরকমই জলমগ্ন একটি বাড়িতে খাট থেকে ৫ মাসের শিশুকন্যা জমা জলে পড়ে মারা গেল। ঘটনা ঘিরে তীব্র শোরগোল বিরাটিতে।

Advertisement
বৃষ্টির জল ঘরে, খাট থেকে পড়ে মৃত্যু বিরাটির ৫ মাসের শিশুকন্যারফাইল ফটো
হাইলাইটস
  • বিরাটিতে জমা জলে পড়ে মৃত্য ৫ মাসের শিশুকন্যার
  • বিরাটির দেবীনগর অংশে ঘরে ঘরে জল ধুকে রয়েছে
  • ঘুমন্ত অবস্থায় খাট থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি

বিরাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা। ঘরের মধ্যে থইথই করছে জল। আর সেই জমা জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৫ মাসের এক শিশুকন্যার। নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিরাটির বিস্তীর্ণ এলাকা। দেবীনগরে এখনও ভাসছে এলাকা। জল থইথই ঘরবাড়ি। জানা গিয়েছে, শনিবার স্থানীয় একটি বাড়িতে খাটের উপর ঘুমোচ্ছিল ৫ মাসের শিশুকন্যা। বৃষ্টিতে ভাসছিল ঘর। আচমকাই ওই শিশু জলে পড়ে যায়। তাতেই ঘটে যা বিপত্তি। 

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শিশুর মা সে সময়ে রান্না করছিলেন। ঘরে ঢুকে দেখেন জমা জলে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে একরত্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উত্তর দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপর শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয় বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যার। 

ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, উত্তর দমদমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই দেবীনগর এলাকা ফি বছরই বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকা অপেক্ষাকৃত নীচু এবং পাশে থাকা খালেরও সংস্কার হয় না দীর্ঘদিন। ফলে বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে দেবীনগরের বিস্তীর্ণ অংশ। ঘরে জল ঢুকে যায় গোড়ালি কিংবা হাঁটু সমান। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সকলে। 

ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই ওই শিশুর দেহ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরাও কলকাতায় রয়েছেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকা পরিদর্শনে যান কাউন্সিলর। তাঁর সাফাই, অতিবৃষ্টিতে এমন জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকা। 

এদিকে, এদিন সকালেই মানিকতলা মেন রোডে ভেঙে পড়ে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ। ঘটনায় ২ শিশু গুরুতর আহত হয়। তাদের ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের অনুমান, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতেই ভগ্নদশা ওই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। কলকাতা পুরসভার তরফে বাড়িটিতে বিপজ্জনক নোটিশও টানানো হয়। তবে শরিকি ঝামেলায় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement