৫৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার TMC সাংসদ কল্যাণ, কেসটা কী হয়েছে ?

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক ছিলেন কল্যাণ। সেই সময় তাঁর নামে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) বিধানসভার উপ শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ওই উপ শাখা এসবিআই-র হাইকোর্ট শাখার অধীন।

Advertisement
৫৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার TMC সাংসদ কল্যাণ, কেসটা কী হয়েছে ?৫৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার TMC সাংসদ কল্যাণ, কেসটা কী হয়েছে ?
হাইলাইটস
  • জাল কেওয়াইসি দিয়ে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করে প্রতারকরা
  • তারপর পুরো টাকা তুলে নেয়

৫৫ লক্ষ টাকা খোয়া গেল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কের তরফেই এই বিষয়ে কল্যাণকে অবহিত করা হয়। ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক ছিলেন কল্যাণ। সেই সময় তাঁর নামে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) বিধানসভার উপ শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ওই উপ শাখা এসবিআই-র হাইকোর্ট শাখার অধীন। বিধায়ক হিসাবে পাওয়া তাঁর যাবতীয় ভাতা ওই অ্যাকাউন্টেই জমা পড়ত। সাংসদ হওয়ার পর থেকে বিধানসভার ওই অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ দিন কোনও লেনদেন হয়নি। ফলে অ্যাকাউন্টটি ‘ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে’ (দীর্ঘ দিন কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না হলে ব্যাঙ্কের পরিভাষায় তাকে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট বলা হয়) পরিণত হয়েছে। অভিযোগ, সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা চুরি গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সাংসদের ছবি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে কালীঘাটের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা প্রথমে বিধানসভার ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে পুরো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, জাল কেওয়াইসি দিয়ে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করে প্রতারকরা। তারপর পুরো টাকা তুলে নেয়।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফেও প্রাথমিক নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত সুরাহা হবে বলে আশা করছেন সাংসদ।

POST A COMMENT
Advertisement