Kasba Student Death: সোমবার কসবার ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ক্লাস টেনের এক ছাত্রের। রথতলার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের (Silver Point school) এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের মধ্যে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ছেলেকে। কোভিডের সময়ে আন্দোলন করে স্কুলের বেতন কমাতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। আর সেই রাগ থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনটা করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এদিন স্কুলের সামনে কয়েকজন অভিভাবকদের থেকে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এক পড়ুয়ার বাবা জানালেন, 'আমার ছেলে এক ক্লাস নিচে পড়ে। ও সেই সময়ে ক্লাস করছিল। সেই সময়ে হঠাৎ একটি জোরে শব্দ শোনা যায়। তখন শিক্ষকরা গিয়ে দেখেন, ছেলেটি নিচে পড়ে আছে।'
ঘটনার আগে সেই পড়ুয়া কী ক্লাস করছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই অভিভাবক জানালেন, 'না, ক্লাস করছিল না। কোনও প্রোজেক্টের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাকে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।'
তবে ওই অভিভাবক জানালেন, 'পাঁচতলায় নিয়ে গিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কিছুই তাঁর ছেলে জানায়নি।'
অপর এক অভিভাবকের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলা হয়। তিনি বলেন, 'খুব কঠিন কোনও শাস্তি স্কুলে দেওয়া হয় না। তবে এক-একজন শিক্ষক-শিক্ষিকা একটু রাগী হন। তাঁদের বকুনিতে মাঝে মাঝে ছেলে দুঃখ পায়।' তবে পড়াশোনা না করলে ব্যাপারটা বকাঝকার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকে বলে জানান তিনি।
সোমবার নিহত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, কোভিডকালে তিনি স্কুলের বেতন হ্রাসের জন্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর চাপে শেষ পর্যন্ত ফি কমাতে বাধ্য হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষের আক্রোশের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ তাঁর। সেই প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, 'এই ঘটনার পর আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তখনই ভেবেছিলাম আমার ছেলের ক্ষতি করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।’
স্কুলের ফি নিয়ে কি খুব কড়াকড়ি? এক অভিভাবক জানান, 'স্কুলের ফি দিতে দেরি হলে জরিমানা করা হয়। ৩ মাস অন্তর বেতন দিতে হয়। সময়ে বেতন দিতে না পারলে ৮০০ টাকা লেট ফি দিতে হয় বলে জানালেন ওই অভিভাবক।' তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, পড়াশোনার ক্ষেত্রে তেমন কোনও খামতি রাখে না স্কুল।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে যায় দশম শ্রেণির এক ছাত্র। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।