Abhijit Ganguly: 'BJP আদৌ তৃণমূলকে সরাতে চায়?' অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'গভীর প্রশ্ন' নিয়ে তোলপাড়

BJP কি আদৌ চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে? কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিষয়ে কোনও সদিচ্ছা নেই বলেই মনে করছেন খোদ BJP সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, 'আমার BJP-তে যোগ দেওয়ার এবং তাদের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যর ধারেকাছেও পৌঁছতে পারিনি।'

Advertisement
'BJP আদৌ তৃণমূলকে সরাতে চায়?' অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'গভীর প্রশ্ন' নিয়ে তোলপাড়অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • BJP কি আদৌ চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে?
  • প্রশ্ন তুললেন খোদ দলের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  • কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি

বিস্ফোরক লোকসভার BJP সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। BJP আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চায় কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর মতে, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকশন দেখে আমার মনে হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতির বদল চায় তারা।'

কীসের ইঙ্গিত?

এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তমলুকের BJP সাংসদ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে জানত চাওয়া হয়, বর্তমান বঙ্গ BJP-র পক্ষে তৃণমূল সরকারকে সরানো সম্ভব কি না। জবাবে তাঁর বক্তব্য, 'BJP আদৌ তৃণমূলকে সরাতে চায় কি না, সেটাই অনেক গভীর প্রশ্ন। এখন সেই প্রশ্নে আমি যাব না। তবে কিছুদিন বাদে হয়তো যাব।'

মোহভঙ্গ?

তবে এখানেই থেমে থাকেননি অভিজিৎ। দলের বিরুদ্ধে তাঁর চাপা ক্ষোভ আর চেপে রাখেননি তিনি। প্রাক্তন এই বিচারপতি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকশন দেখে আমার মনে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতির বদল চায় না তারা। কেন্দ্রীয় সরকার যদি পরিস্থিতি বদল করতে না চায়, তাহলে সে বদল হবে না।' BJP সাংসদের প্রশ্ন, 'কেন যে পশ্চিমবঙ্গের মতো একটা শাসনহীন, প্রশাসনহীন রাজ্যে অন্তত ৩৫৫ ধারা জারি করা হবে না, সেটা আমার কাছে একটা বিরাট প্রশ্ন।'

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ?

তবে কি বছর খানেকের মধ্যেই মোহভঙ্গ হল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের? তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমার BJP-তে যোগ দেওয়ার এবং তাদের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সবরকমের বন্দোবস্ত করা হবে। সেই উদ্দেশ্যর ধারেকাছেও আজ পর্যন্ত আমি গিয়ে উঠতে পারিনি। তার দায় মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সর এর জন্য কিছু করেনি।'

হিন্দিভাষী নেতা

প্রচারে হিন্দিভাষী নেতাদের উপর জোর দেওয়া নিয়েও সরব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এই হিন্দি বলয় থেকে এখানে নেতা এনে ভোট করানো যাবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মন, মেজাজ, তাদের অভিমান এসব দিল্লিওয়ালা নেতারা বোঝেন না। পশ্চিমবঙ্গ সম্পূর্ণ একটি আলাদা জায়গা। পশ্চিমবঙ্গের মৃত্তিকা, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, তাদের চিন্তাভাবনা বাকি ভারত, অন্তত উত্তর ভারতের সঙ্গে তা মিলবে না। দক্ষিণ ভারতের কথা আমি বলতে পারব না। তাই সেখান থেকে নেতা পাঠিয়ে, ভোট করিয়ে, জিতিয়ে বেরিয়ে যাব, এটা অবাস্তব চিন্তাভাবনা। এসব করে কিছু হবে না। বরং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দাও। পুলিশকে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় নিয়ে এসো। তারপর ভোট করো গণতান্ত্রিক ভাবে। মানুষ ভোট দিতে যাক। যেখানে তৃণমূলের বাঁদর-বাচ্চারা লাফালাফি করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে না। সেই অবস্থায় ভোট হোক। তারপরও যদি তৃণমূল আসে আসবে।'

Advertisement

CBI-ED

CBI তদন্ত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ ওদের বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে। একটাও তদন্ত হচ্ছে? একজনকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে? কিসসু হচ্ছে না। আমার মনে হয়, CBI এবং ED-র কিছু বড় ও মেজো কর্তারা BJP বিরোধী রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট হয়ে কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল দ্বারা প্রভাবিত। আমি CBI ডিরেক্টর প্রবীণ সুদকে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ব্যাখ্যা দিন। কেন করা হল না? অভয়া মামলা থেকে রাজীব কুমার মামলা, শিক্ষা দুর্নীতি, এমন বহু উদাহরণ আমি এখনই দিতে পারি।'

নিশানায় কমিশন

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিশানায় রয়েছে নির্বাচন কমিশনও। SIR আবহে BJP যখন কমিশনের পাশে অভিজিৎ তখন বলছেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে আমার কিছু সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কমিশন এর আগে ভোটার তালিরায় গন্ডগোল করার জন্য ৪-৫ অফিসারের বিরুদ্ধে FIR এর নির্দেশ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হলেও কারও বিরুদ্ধে কোনও FIR হয়নি। FIR করার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। বহু হুঙ্কার ছাড়লেও FIR করা হল না বলে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করেনি কমিশন। কেন করেনি?'

 

POST A COMMENT
Advertisement