প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা কোনও মামলায় ৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকলে তাঁরা আর সংশ্লিষ্ট পদে থাকতে পারবেন না। সংসদে এই বিল পেশ করেছে কেন্দ্র। বিলটি ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ। তৃণমূল কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দল বিলের বিরোধিতায় সরব। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের বক্তব্য, এই বিল আগামী ১০০ বছরেও পাশ করাতে পারবে না কেন্দ্র। বললেন, '৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকলে পদত্যাগ, আরে সেটা আদালত ঠিক করবে, আপনি ঠিক করার কে? ভারতে বিচার ব্যবস্থা নেই? আপনি আইনে হস্তক্ষেপ করে কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন।'
সময়টা কমিয়ে ১৫ দিন করুন: অভিষেক
একই সঙ্গে সংবিধানে নয়া সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫ দিনের চ্যালেঞ্জ করলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, '৩১ দিনে পদত্যাগ করতে হবে কেন? আমি চ্যালেঞ্জ করছি। সময়টা কমিয়ে ১৫ দিন করুন, আমরা সাপোর্ট করব। কিন্তু শর্ত থাকবে, দোষী প্রমাণিত না হলে তদন্তকারী অফিসারকে দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে।'
'সরকার ফেলার আলাদা মন্ত্রক গঠন করুন'
অভিষেকের কটাক্ষ, 'আপনাদের উদ্দেশ্য দুর্নীতি রোখা নয়। সরকার ফেলা। ইডি, সিবিআই-কে কাজে সরকার ফেলা। সরকার ফেলার একটি আলাদা মন্ত্রক গঠন করুন। সেই মন্ত্রকের মন্ত্রী করে দিন অমিত শাহকে। ৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকলে যদি ৩১ তম দিনে পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে অভিযুক্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের সময়টুকুও পাবে না।'
নারদ স্টিং অপারেশনের প্রসঙ্গ
এরপরেই নারদ স্টিং অপারেশনের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বললেন, ' যারা বিজেপি-তে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয় না কেন। যাদের টিভির পর্দায় অন ক্যামেরা টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের হাইকোর্ট প্রোটেকশন দিয়ে রেখেছে, কার কথায়। বিজেপি-তে যারা গেছে, তারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।'
আজ লোকসভায় বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বিলে বলা হয়েছে, গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হলে, টানা ৩০ দিন বন্দি থাকলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে যেতে হবে। এটি হবে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলে এই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে , বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।