'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সংসদে ১৬ ঘণ্টার আলোচনা পর্ব। আর তাতে অংশ নিতে দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখ হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একাধিক ইস্যুতে BJP-কে একহাত নিলেন তিনি। অভিষেকের বিস্ফোরক অভিযোগ, কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হচ্ছে। কমিশন BJP-র হয়ে কাজ করছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'BJP শাসিত রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, হরিয়ানায় বাঙালিদের উপর পূর্ব পরিকল্পিত অত্যাচারের ভুরি ভুরি ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। SIR-এর নাম করে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বিহারে সাধারণ মানুষের নাম বাদ দিয়ে কুকুরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট তৈরি করে ভোটার কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে এভাবেই। কার্ডে লেখা পিতার নাম কুত্তাবাবু। এই রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট SIR-এর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করছে।' কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'যাতে নির্বাচনের সময়ে ভোট লুট করে BJP-কে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়া যায়, এই ঘটনাতেই তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। একটা পার্টিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে কমিশন। এটা লজ্জার।'
বাংলায় হেরেছে বলেই BJP বাঙালিদের উপর অত্যাচার করছে বলে আবারও সরব হন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, 'CPIM রবীন্দ্রনাথকে বলত বুর্জয়া কবি। আর BJP-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর জন্মস্থান জানেন না। স্বামী বিবেকানন্দকে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন বামপন্থী প্রোডাক্ট। এঁরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিলেন অমিত শাহের নেতৃত্বে।' বাংলাদেশি ঢুকছে কেন, সেই দায় অমিত শাহ, BSF-এর বলেও উল্লেখ করেন অভিষেক। তিনি আরও বলেন, 'পহেলগাঁওতে যে ৪ জঙ্গি হামলা করল, তারা কোথায়? আমি লিখিত প্রশ্ন জমা করেছি সংসদে। এরা তো মাছি-মশা নয় যে সীমান্ত দিয়ে ঢুকে গেল একে-৪৭ নিয়ে কেউ জানতে পারল না? অমিত শাহ কেন জবাব দিচ্ছেন না?'
'অপারেশন সিঁদুর' সংক্রান্ত এই সমস্ত প্রশ্ন যে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা লোকসভার বিতর্কে উত্থাপন করতে পারেন, সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিতর্কে দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখবেন সায়নী ঘোষ। তিনি বাংলাতেই বলবেন বলে জানান অভিষেক। শুধু তাই নয়, আগামী দিনেও সংসদে তৃণমূল সাংসদরা সুবিধা মতো বাংলাতেই কথা বলবেন।