scorecardresearch
 

Sukanta Majumdar : 'আবাস যোজনা পুরনো প্রকল্প, তাহলে বিষ্ণুপুরে মৃতদের পরিবারকে দিল্লি কেন আনলেন?' অভিষেককে সুকান্ত

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কর্মীদের বাস পৌঁছতে শুরু করেছে রাজধানীতে। এই অবস্থায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নিল বিজেপি।

Advertisement
সুকান্ত মজুমদার সুকান্ত মজুমদার
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের
  • তারমধ্যেই তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কর্মীদের বাস পৌঁছতে শুরু করেছে রাজধানীতে। এই অবস্থায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নিল বিজেপি। পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল তারা। ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের মতো নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগা হয়। 

সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুসেছে রাজ্য সরকার। তবে তা মিথ্যে। বঞ্চনার কোনও প্রশ্ন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার দিনের পর দিন এই দুই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি করেছে। তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়। রাজ্যে এসেছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও। তারাও অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যের ভূমিকাতে। তবে রাজ্য তাত কান দেয়নি। বরং যাঁদের সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তাঁদের দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সুবিধে দিয়েছে এই সরকার। দোতলা-তিনতলা বাড়ি আছে এমন মানুষদেরও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে। 

সুকান্ত মজুমদারের আরও দাবি, ১০০ দিনের কাজেও দুর্নীতি হয়েছে। যেখানে পুকুর নেই, সেখানে পুকুর আছে দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে সরকারের থেকে। এমন অনেক উদারহণ আছে। এভাবেই কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা দিয়ে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। 

আরও পড়ুন

সুকান্তর আরও দাবি যে সব দুর্নিতির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে রাজ্যকে কজদন্তের পরাপর্শ দেয় কে্দ্র। তিন তিনবা্র। তবে সরকেরের তরফে কোনও তথ্য পেশ করা হয়নি। সুকান্কের কথায় 'আমার কাছে এমন অজস্র তথি রচেছে যে সারারাত কেটে যাবে।' 

সুকান্ত মজুমদার বলেন, "জেসিবি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। তারপর ভুয়ো তথ্য পেশ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। জয়ন্ত রায়ও লোকসভায় প্রমাণ সহ বলেছিলেন যে কারোর অ্যাকাউন্টে ১ টাকা, কারোর অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা পাঠানো হয়েছে।"

Advertisement

সম্প্রকি, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে শনিবার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার সকালে জানা গেল, বাঁকুড়ারই ছাতনায় একই ভাবে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। দু’টি পরিবারের কেউই কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা পাননি। এটাই সামনে এনে অভিষেক তথা তৃণমূলের দাবি, মৃত চারজনই ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র সাম্প্রতিকতম শিকার।  

তারও সমালোচনা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়য় রাজনীতি করছেন। বরং রাজ্য সরকারই মৃতদের পরিবারের সদস্যদের দিল্লি এনে রাজনীতি করছেন। কারণ, আবাস যোজনা তো আজকের নয়। অনেক পুরোনো প্রকল্প। তাহলে কেন আগে থেকে ওই সব ব্যক্তিদের বাড়ি দেওয়া হয়নি ? 

 

Advertisement