অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবারও উত্তাপ বাড়ছে নন্দীগ্রামে। ভোটের দিনক্ষণ পর্যন্ত এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তার আগেই একেবারে ২০২৬-এর শুরু থেকে আলোচনার শিরোনামে উঠে আসছে নন্দীগ্রাম। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও শোনা গেল নন্দীগ্রামের কথাই। নন্দীগ্রামে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নন্দীগ্রামে সেবাশ্রয় 2.0 এর আওতায় দুটি মডেল ক্যাম্প খোলা হচ্ছে। একটি তৈরি করা হবে এক নম্বর ব্লকের জন্য ও অপরটি করা হবে দু'নম্বর ব্লকের জন্য। এই ক্যাম্প উদ্বোধনের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি তিনি নন্দীগ্রামে যাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
কিন্তু নন্দীগ্রামই কেন? এর উত্তরে অভিষেক বলেন, সেবাশ্রয় 2.0 শুরুর সময় থেকেই নন্দীগ্রামের মানুষের কিছু অনুরোধ এই বিষয়ে ছিল। সেটির কথা মাথায় রেখেই নন্দীগ্রামে ক্যাম্প খোলা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, "আমাকে দল যেভাবে কাজে লাগাবে, সেভাবে কাজ করব। আমাকে দল যদি বলে নন্দীগ্রামে দাঁড়াও। আমি দাঁড়াব। আমাকে দল যদি বলে দার্জিলিংয়ে দাঁড়াও, আমি সেখানে দাঁড়াব।"
উল্লেখ্য বিষয় হল, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যে বর্তমানে সুপার হেভিওয়েট হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা নেই। কারণ কুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টো দিকে ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বামেদের হয়ে লড়াই করেছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ এই আসনে মূলত লড়াই হয় মমতা ও শুভেন্দুর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হন শুভেন্দু। যদিও ওই ফল নিয়ে মামলাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আবারও ছাব্বিশের নির্বাচনে এই আসন যে সুপার হেভিওয়েট হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহই নেই।