তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। সেজন্য তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
আইনি নোটিশে অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম নেতার পোস্টে অভিষেকের সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর মক্কেল একজন জনপ্রতিনিধি-সাংসদ। তাঁকে এভাবে কীসের ভিত্তিতে অপমান করা হল তার জন্য সেলিমের করা সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ দাখিলের আবেদনও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
সেই নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করে ওই ট্যুইটটি না মুছে দিলে সেলিমের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করবেন অভিষেক। নোটিশে লেখা, 'আমার মক্কেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডায়মন্ডহারবার থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সম্মান রয়েছে বন্ধু-পরিবার-পরিজনদের কাছে। তিনি তাঁর সততা, পরিশ্রমের জন্য রাজ্যের বাইরেও দেশ ও বিদেশে পরিচিত। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁর সততা, চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনার সময় ট্যুইটে একটি স্থানে 'প্রস্টিটিউট' শব্দটি ব্যবহার করেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক। ইংরাজিতে লেখেন, 'অভিযোগ, তিনি (অভিষেক) তাঁর অসাধু সম্পদ রাখার করার জন্য ১৫ জন বিদেশি পতিতার(Prostitute) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন।' কিন্তু অভিষেকের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে গিয়ে নিজেই সমালোচনার মুখে পড়ে যান মহম্মদ সেলিম। অন্য রাজনৈতিক দল তো বটেই, সিপিএম কর্মীরাও তাঁর এই শব্দচয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, বামপন্থীরা প্রস্টিটিউট, বারবণিতা বা পতিতা জাতীয় শব্দগুলি ব্যবহার করেন না। এগুলি ঘৃণাসূচক। বরং 'যৌনকর্মী' বা Sex Worker শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়।
যদিও সেই টুইটের জন্য় ক্ষমা চাননি মহম্মদ সেলিম। তবে নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন যৌনকর্মী। অর্থাৎ, বাকি সবকিছু একই রাখলেও যৌনকর্মী শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি।