একরত্তি সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল বেহালার রাস্তার চিত্র। ইতিমধ্যেই রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশি পাহারা, বসানো হয়েছে ড্রপগেট। তার পাশাপাশি এবার রাস্তার দুপাশের হকারদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হল। দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে ৩টে দিন। রবিবার রাত থেকেই বেহালা চৌরাস্তায় নেমেছে বুলডোজার। রাস্তার পাশে দু’ফুট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হকারদের। বহু গুমটি তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুলডোজার চালিয়ে রাতভর চলেছে এই কাজ।
আগেই রাস্তার প্রত্যেকটি জায়গায় পুলিশের পাহারা বসেছিল। রাস্তার পেরোনোর জায়গাগুলিতে একাধিক ড্রপগেট বসানো হয়েছিল। ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ যত্রতত্র রাস্তা পেরোনো যাবে না। জেব্রা ক্রসিং ধরেই যাতে পথচারীরা রাস্তা পারাপার করেন তা নিশ্চিত করছে পুলিশ। বাস বা অটোয় ওঠার জন্যও নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন যাত্রীরা। লরি দেখলেই পুলিশের বাড়তি নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।
সৌরনীলের মৃত্যুর পর কলকাতায় ট্রাক ঢোকা নিয়ে নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। সকাল ৬টার পর শহরে কোনও ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেইসঙ্গে কলকাতার সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলানোর দায়িত্ব সামলাবে পুলিশ (Police)। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ওই কাজের তদারকিতে থাকবেন একজন ওসি কিংবা সম মর্যাদার অফিসার। শনিবার থেকেই লালবাজার ওই নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবারের ঘটনার পর বন্ধই ছিল বড়িশা হাইস্কুল। সোমবার তা ফের খুলল। লালবাজারের নির্দেশে মেনে এদিন স্কুলের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পড়ুয়াদের নিয়ে অভিভাবকদের ডায়মন্ড হারবার রোডে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে রাস্তা পারাপার করানো হচ্ছে, তদারকি করছে ট্রাফিক পুলিশ। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় যাতে সকলেই ফুটপাত ব্যবহার করেন, তার উপরেও নজর রাখছেন পুলিশকর্মীরা।