সোমবার ভোরে ফের এক দুর্ঘটনা। জন্মদিনের পার্টি সেরে ফেরার পথে উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চার যুবক। জানা গেছে, এয়ারপোর্টমুখী লেনে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা একটি বুলেট বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে রেলিংয়ে। ছিটকে পড়েন বাইকে থাকা চার যুবকই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় দুজনের। অপর দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর ৫টা ৪২ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। শোয়েব, সোহেল, রহমান ও ফারুক— এই চার যুবক রবিবার রাতে এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাইকে চড়ে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রত্যেকেই ছিলেন বিনা হেলমেটে। অতিরিক্ত গতির ফলে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে, এবং তীব্র আঘাতে চারজনই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থা দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার শিকার চার যুবকেরই বাড়ি কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা মদ্যপান করেছিলেন কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর শহরে ফের উঠছে প্রশ্ন— বেপরোয়া গতি আর নিয়ম না মানার প্রবণতা কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে? শহরের একাধিক উড়ালপুল, বিশেষ করে মা ফ্লাইওভার, চিংড়িঘাটা বা উল্টোডাঙা— আগেও এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। প্রশাসনের তরফে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রচার চালানো সত্ত্বেও বেপরোয়া বাইক রাইডের প্রবণতা কমছে না। বেশিরভাগ উড়ালপুলেই স্পিড ক্যামেরা, নজরদারি সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও সচেতনতার ঘাটতি যে বড় চ্যালেঞ্জ— তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল।