scorecardresearch
 

Adenovirus: শুধু অ্যাডেনো নয়, ভাইরাস ককটেলে কাবু কলকাতার শিশুরা, বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

ভয়ের নাম অ্যাডেনো (Adenovirus) ভাইরাস। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সর্দি-কাশির ভাইরাস। শুধু কলকাতাতেই তিনশোর ওপর শিশু ভর্তি হাসপাতালে। আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি থেকে পাওয়া রিপোর্টে জানা যাচ্ছে,  শ্বাসকষ্ট-সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১৫ জন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি। প্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • ভয়ের নাম অ্যাডেনো (Adenovirus) ভাইরাস।
  •  শুধু কলকাতাতেই তিনশোর ওপর শিশু ভর্তি হাসপাতালে।

ভয়ের নাম অ্যাডেনো (Adenovirus) ভাইরাস। শুধু কলকাতাতেই তিনশোর ওপর শিশু ভর্তি হাসপাতালে। আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি থেকে পাওয়া রিপোর্টে জানা যাচ্ছে,  শ্বাসকষ্ট-সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১৫ জন। আইসিইউ/এইচডিইউতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ২২ জন রোগী। তাছাড়া শহরের অন্যান্য হাসপাতালেও ভর্তি অনেকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৩০টি শিশু। তারমধ্যে আইসিইউতে রাখতে হয়েছে ৩টি শিশুকে। ১-২ বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে জানা যাচ্ছে, শুধু অ্যাডেনো ভাইরাস নয়, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে ভাইরাস ককটেল-এর ভুমিকা। অর্থাৎ একঝাঁক ভাইরাস থাবা বসাচ্ছে একসঙ্গে।

ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি ৩৪ জন, আইসিইউতে রয়েছেন ৭ জন। মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি ৫৬ জন এবং আইসিইউ ১৭ জন। ৩৩ জন ভর্তি রয়েছেন রুবি হাসপাতালে। শহরের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। 
চিকিৎসরকা জানাচ্ছেন করোনা-সহ অ্যাডেনোভাইরাস, মেটাপনিউমোভাইরাস, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, বোকাভাইরাস এবং রাইনোভাইরাসের দাপটেই এই পরিস্থিতি। এমনকি, এইচ৩এন২ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-এর মতো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। যেকারণে সরাসরি ফুসফুসে আঘাত হানছে ভাইরাস ককটেল।

আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টারিক ডিজিজেস-এ জানুয়ারিতে ৫০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩২ শতাংশ অ্যাডেনোভাইরাস, ১৩ শতাংশ প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং ১২ শতাংশ রাইনোভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল। অ্যাডেনোভাইরাস, বোকাভাইরাস এবং মেটাপনিউমোভাইরাসের পাশাপাশি নন সার্স কোভি-২ করোনাভাইরাসও পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে। আরএন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস শুক্রবার ১০০ শয্যার আইসিইউ ভর্তি শিশু। যার মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি শিশুর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তিন দিনের বেশি থাকলেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সর্দি-কাশি, ক্রমাগত নাক দিয়ে জল পড়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, গলায় ব্যথা হলে দেরি করা ঠিক হবে না। কিন্তু আমাদের কাছে অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার করা রোগীই বেশি আসছে। তাদের পরিস্থিতি অনেকটা খারাপ হওয়ার পরই পাঠানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ঠিক আছে, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাচ্চারাই বেশই আক্রান্ত।'

Advertisement

তাঁর কথায়, 'এই ভাইরাস ড্রপলেটও নাক-মুখ থেকে বেরনো জলকণার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তাই মাস্ক পরা খুবই জরুরি। বারে বারে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে বাইরে থেকে এলে হাত ভাল করে ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে তবেই ঘরে ঢুকুন।'
চিকিৎসকের বক্তব্য, 'ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এই ভাইরাস গতবছরও ছিল। কিন্তু এতটা ছড়ায়নি। এবছর দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই বমি হচ্ছে। সামনের বছর হয়ত উপসর্গ পাল্টে যেতে পারে। নির্দিষ্ট কোনও ওষুধও নেই। সাপোর্টিভ ওষুধ, অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।'

আরও পড়ুন-Adenovirus: অ্যাডেনো ভাইরাস আক্রান্ত বাড়ছে শহরে, কী উপসর্গ-কীভাবে রক্ষা

 

Advertisement