Police Encounter Case: কেন গুলি চালাতে হল? সাজ্জাক 'এনকাউন্টার' নিয়ে মুখ খুলল রাজ্য পুলিশ

Police Encounter Case: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ভবানীভবনে  সাংবাদিক বৈঠক করেন জাভেদ শামিম। সঙ্গে ছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকারও। এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানান, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, দুই পুলিশকর্মীর উপর হামলা চালিয়ে ওই আসামী পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা স্পেশাল টিম গঠন করেছিলাম। সবাই মিলে যৌথ উদ্যোগে ওনাকে ধরার প্রয়াস শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালানো হয়।

Advertisement
কেন গুলি চালাতে হল? সাজ্জাক 'এনকাউন্টার' নিয়ে মুখ খুলল রাজ্য পুলিশ'আগে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এনকাউন্টারে নিহত সাজ্জাক' দাবি এডিজির

Police Encounter Case: পাঞ্জিপাড়ায় গুলিকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। অভিযুক্ত সাজ্জাককে গুলি চালানোর ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, আগে ও গুলি চালায়। তারপরই বাধ্য় হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত। পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ যে ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নয়, সে বিষয়ও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ভবানীভবনে  সাংবাদিক বৈঠক করেন জাভেদ শামিম। সঙ্গে ছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকারও। এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানান, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, দুই পুলিশকর্মীর উপর হামলা চালিয়ে ওই আসামী পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা স্পেশাল টিম গঠন করেছিলাম। সবাই মিলে যৌথ উদ্যোগে ওনাকে ধরার প্রয়াস শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালানো হয়।

তিনি বলেন, ঠশুক্রবার আমাদের কাছে খবর আসে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন আসামী। যেহেতু এখন প্রচুর কুয়াশা তাই সমস্যা হয়েছিল। তারপরেই তাকে স্পট করা হয়‌। তাকে ধরা দিতে বলা হলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাই তার উপর গুলি চালানো হয়। তারপরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। সাজ্জাক ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালায়‌ তারপরেই আমাদের অফিসার গুলি চালায়। যেটা দিয়ে গুলি চালানো হল সেটা আগের বন্দুক ছিল কি না, তা তদন্ত চলছে। সাজ্জাকের শরীরে তিনটে গুলি লাগে। ওখানে আমাদের ৮ জন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। সাজ্জাকের সঙ্গে আর ১ জন ছিল বলে খবর পেয়েছি। সেটার তদন্ত চলছে। গোয়ালপুকুর থানার তলা কিচিরতলা ব্রিজের কাছে ঘটনাটি ঘটে। যা বাংলাদেশ বর্ডারের একেবারে সামনে। সাজ্জাকের অপর সঙ্গী আব্দুল হোসেনের খোঁজ চলছে।"

তবে এডিজি আইনশৃঙ্খলা আরও জানান "এই ধরনের এনকাউন্টার আগেও হয়েছে। রাজ্যের পুলিশ অনেক পেশাদার। রাজ্য। পুলিশ ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নয়। তিনি জানান, এমন নয় যে বাংলায় এই প্রথম এনকাউন্টার করা হয়েছে। এর আগেও হয়েছে। পুলিশের রাইটস আছে নিজেদের বাঁচাতে। তারা এই কাজ করতে পারে। অনেক অস্ত্র আসছে বাইরে থেকে। উদ্ধার করা হচ্ছে সব। আমরা সবকিছু প্রফেশনালি করি। সবকিছু ট্রেন করা আছে সেই ভাবেই সবকিছু হ্যান্ডেল করা হবে। সেটা কোনও অফিসার হোক বা কনস্টেবল হোক।"

Advertisement

 

সংবাদদাতাঃ তপন নস্কর

 

POST A COMMENT
Advertisement