Adhir On TMC-Congress Alliance: অধীরের 'অগোচরে' কংগ্রেস-তৃণমূল জোট? যা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে ৪২টি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড কোনওদিনই জোটের কথা খারিজ করেননি। অতিসম্প্রতি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনার দরজা বন্ধ হয়নি।'

Advertisement
অধীরের 'অগোচরে' কংগ্রেস-তৃণমূল জোট? যা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিMamata Banerjee And Adhir Chowdhury

রাজ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে জোটের আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এ নিয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই বলে শনিবার দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সঙ্গে জোট নিয়ে নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। তাঁর কথায়,'আমরা বাংলায় বামেদের সঙ্গে আঁতাঁত করে নির্বাচনে লড়তে চাই। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছি।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে ৪২টি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড কোনওদিনই জোটের কথা খারিজ করেননি। অতিসম্প্রতি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনার দরজা বন্ধ হয়নি।' সূত্রের খবর কংগ্রেসকে বাংলায় প্রথমে দুটি আসন ছাড়তে রাজি ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আলোচনায় তার বেশি আসনের দাবি করছে রাহুল গান্ধীর দল। অন্যদিকে, মেঘালয়ের তুরা ও অসমের একটি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের আলোচনা তাঁর 'গোচরে' নেই বলে দাবি করলেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়,'জয়রাম রমেশ কী বলেছেন, সেটা আমার জানা নেই। আমার অগোচরে কিছু হয়ে থাকলে আমার তো জানার কথা নয়।'

অধীর বলেন, 'তৃণমূল তো বলে দিয়েছে ৪২টি আসনে প্রার্থী দেবে। পরে মমতার মতো হয়েছে, আমার উদ্যোগের প্রয়োজন নেই। ইন্ডিয়া জোট গঠনের সময় কৃতিত্ব নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধীকে বলেছিলেন আমার নেই। এখন পাল্টি খাচ্ছেন। মমতা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি যে তিনি ইন্ডিয়া জোটে থাকবেন না। আসলে শাসক দল সংশয়ে আছে। তার কারণ, শাসক দলের একাংশ মনে করছে, ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে একা নির্বাচনে লড়াই করলে, বাংলার সংখ্যালঘুরা সমর্থন করবে না, বিরুদ্ধে ভোট দেবে। বাংলার সংখ্যালঘুরা চাইছে, যে কোনওভাবেই সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে হারাতে হবে। এর পাশাপাশি বাংলার হিন্দুরাও বিজেপিকে হারাতে চায়। তৃণমূলের আর একটা অংশের মতে, জোটকে বেশি গুরুত্ব দিলে ইডি-সিবিআই ব্যবহার করতে পারে মোদী সরকার। এই দুই দ্বিধায় ফেঁসে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তৃণমূল। কোনটা বেশি বিপজ্জনক সেটা মাপতে ব্যস্ত তারা।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement