Shankar Ghosh: মার্শাল টেনে বের করার সময় অসুস্থ শঙ্কর ঘোষ, শুভেন্দু বললেন,'ওরা গুন্ডা'

বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকারে বিধানসভায় শুরু হয়েছে আলোচনা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুরু হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। পাল্টা তাঁদের দিকে তেড়ে যান কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক। এই সময়ে বিজেপি বিধায়ক-বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হয়। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বার করার চেষ্টা করেন মার্শালরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা।

Advertisement
 মার্শাল টেনে বের করার সময় অসুস্থ শঙ্কর ঘোষ, শুভেন্দু বললেন,'ওরা গুন্ডা' বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ


বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকারে  বিধানসভায় শুরু হয়েছে আলোচনা। এদিন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুরু হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা।   বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। পাল্টা তাঁদের দিকে তেড়ে যান কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক। এই সময়ে বিজেপি বিধায়ক-বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হয়। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বার করার চেষ্টা করেন মার্শালরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা।   

প্রসঙ্গত, হস্পতিবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে বক্তৃতা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বলার কথা ছিল।  অগ্নিমিত্রা পালের নাম যখন ডাকা হয়েছিল, তিনি তখন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা রাখতে বলেন স্পিকার। কিন্তু এরই মধ্যে চলে আসেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি বিধায়করা চিৎকার করতে থাকেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীও তখন স্পিকারকে অনুরোধ করেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেন তিনি।  স্পিকার সে অনুমতি দেন, কিন্তু অগ্নিমিত্রার বক্তৃতার সময় কমিয়ে দেন। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে ওঠেন।  বাংলা ভাষার ওপর আক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবে বক্তব্য রাখা শুরু করেছিলেন, তখনই ই শঙ্কর ঘোষ স্লোগান শুরু করেন, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, আর সে বিষয়ে কেন দু’রকমের বক্তব্য রাখা হয়েছে। বারংবার স্পিকার তাঁকে সতর্ক করেন। শঙ্কর ঘোষ অনড় থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীকে থামতে হয়। এরপরই শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। কিন্তু তিনি নিজের আসনেই অনড় থাকেন। তাঁকে বিধায়করা ঘিরে রাখেন। তাঁকে সেসময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা বার করার চেষ্টা করেন, এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা অন্দরের পরিস্থিতি। শেষে মুখ্যমন্ত্রীই ওয়েলে নেমে নিজের দলের বিধায়কদের নিজ নিজ জায়গায় বসার নির্দেশ দেন।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই বিজেপি  বিধায়করা ঘিরে ধরেন স্পিকারকে। পরিস্থিতি সামলাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে এদিনসবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর  ঘোষ। মার্শাল এসে বিজেপি বিধায়কদের  কক্ষ থেকে বের করতে চাইলে শুরু হয় নাটকীয় টানাটানি। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের হতে রাজি হননি শঙ্কর ঘোষ। পরে অবশ্য জনা দশেক মার্শালকে দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শঙ্কর  ঘোষকে। টানাটানিতে আঘাত পান তিনি। তাঁকে বিধানসভাতেই শুয়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও বিজেপিকে সর্বাত্মক আক্রমণ করে চলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী ও অমিত শাহ কেও চোর বলে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সুরে সুর মেলান তৃণমূল বিধায়করাও।

এদিন বিধানসভায় শঙ্কর ঘোষকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেন মার্শাল। দীর্ঘ বচসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্কর ঘোষ। তার পরই বিজেপি বিধায়ককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিধানসভায় অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে। শঙ্করকে সেই অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শঙ্করকে জে এন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

POST A COMMENT
Advertisement