অমিত মালব্যআজকের যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। তড়িঘড়ি রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। এখন কুমিরের কান্না কেঁদে লাভ নেই। যুবভারতীর ঘটনার জন্য আজ টিএমসি-এর বিরুদ্ধে এভাবেই আক্রমণ শানালেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য।
এক্স-এ তিনি লেখেন, 'কুমিরের কান্না বন্ধ করুন। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি আপনার সরকারের প্রতিটি কাজের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগের উপর সরাসরি আঘাত হেনেছে এবং প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীকে অপমান করেছে।'
এখানেই শেষ না করে তিনি আরও বলেন, 'আপনাকে অবিলম্বে জবাবদিহি করতে হবে। দায়ীদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।'
পাশাপাশি তিনি অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার কথা বলেন। সেই সঙ্গে দেরি না করে তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
টাকা ফেরত দিতে হবে
এই অনুষ্ঠানের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করেছেন সাধারণ মেসি ভক্তেরা। আর তাদের টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার কথা বললেন আমিত মালব্য। তিনি বলেন, 'এই অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়েছেন দর্শকেরা। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া নিশ্চিত করা জরুরি।'
সমস্যা কোথায়?
গতকাল রাত থেকেই মেসি ফিভারে ভুগছিল কলকাতা। রাতেই ভক্তেরা পৌঁছে যায় এয়ারপোর্ট। পাশাপাশি রাস্তার ধারেও জমে গিয়েছিল ভিড়। এমনকী মেসি যেই হোটেলে ছিলেন, সেখানেও ভিড় হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই মেসিকে দেখতে যুবভারতীতে লাইন দেন সাধারণ মানুষ। হয় অনুষ্ঠান। এমতাবস্থায় মেসি সেখানে সাদা গাড়িতে করে এসে উপস্থিত হন। তবে মাঠে নামার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে রাখে সুজিত বোস, অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি একটা বড় ভিড়। যেই কারণে সাধারণ দর্শকরা মেসিকে দেখতেই পারেনি বলে অভিযোগ। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে বোতল ছোড়া শুরু হয়। তখনই তড়িঘড়ি মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মেসি। এই সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। মাঠে ঢুকে পড়ে সাধারণ মানুষ। চেয়ার ছুড়ে মাঠে ফেলা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে পুলিশ এবং RAF।
দর্শকদের মতে, এত টাকা খরচ করে টিকিট কাটা হয়েছে। সেখানে যদি নাই দেখা যায় মেসিকে, তাহলে আর লাভ কী! তাই তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। চাইছেন টাকা ফেরত।
যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনার নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মেসি এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।