Amit shah: 'আপনি চান অনুপ্রবেশ চলুক, যাতে ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে', দাবি অমিত শাহের

বাংলা ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ওই বাংলায় অনেক বছর কমিউনিস্টদের শাসন করেছে, এরপর মমতা দিদি এসেছে। ওর তিনি এই মহান বাংলাকে অনুপ্রবেশকাপী, স্ত্রীদের ওপরে অত্যাচার, বোমাবাজি, দুর্নীতির বানিয়ে ফেলেছেন।

Advertisement
আপনি চান অনুপ্রবেশ চলুক, যাতে ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে: অমিত শাহঅমিত শাহ
হাইলাইটস
  • নেতাজি ইন্ডোরে ২৬-এ বিজেপি সরকার গঠনের ডাক শাহের।
  • অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিঁধলেন মমতাকে।

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভায় ২০২৬ সালের ভোটের ঢাকে কাঠি দিলেন অমিত শাহ। ডাক দিলেন সরকার বদলের। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশ, নারীসুরক্ষা থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শানালেন শাহ।

শাহের নিশানায় মমতা

মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মহান বঙ্গভূমিকে অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বোমা এবং হিন্দুদের উপর দুরাচারের কেন্দ্র বানিয়ে দিয়েছেন। 

বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি

আপনার সময় শেষ। ২০২৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তৃণমূল সরকার যাওয়ার পর আমাদের কর্মীদের হত্যাকারীরা মাটিতে তলায় লুকিয়ে থাকলেও তুলে বের করব। 

মমতাকে চ্যালেঞ্জ

গণতন্ত্রে হিংসা কাম্য নয়। দিদি হিম্মত থাকলে ব়্যাগিং ছাড়াই নির্বাচন করে দেখুন। আপনার নিজের জমানতই জব্দ করে দেবে বাংলার জনতা। ভোটব্যাঙ্কের জন্য পতনের সীমা পার করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

প্রসঙ্গ অপারেশন সিঁদুর

'পহেলগাঁওয়ে নির্দোষ নাগরিকদের ধর্ম দেখে দেখে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। সেই ৫ সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন মোদীজি। আমরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক করেছি। এবার অপারেশন সিঁদুর করে ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ওদের এয়ারবেসকে ধ্বংস করেছি। দিদির পেটব্যথা হচ্ছে। বাংলার নাগরিকরা যখন মারা গেলেন, তখন কিছু বলেননি। মোদীজি আসার পর অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন। আপনি অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেননি, দেশের কোটি কোটি মা-বোনেদের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। অপারেশন সিঁদুরে প্রশ্ন তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুরের মূল্য বুঝিয়ে দিন বাংলার মা-বোনেরা।

ইউপিএ জমানায় কিছুই হয়নি

কংগ্রেস, ইউপিএ সরকার কিছুই করত না। সেই সরকারে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নরেন্দ্র মোদী সরকারে আসার পর গুলির জবাব গোলায় দেওয়া হয়েছে। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। আবার কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটালে জবাব দেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গ অনুপ্রবেশ

বাংলার নির্বাচন দেশের সুরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত খুলে দিয়েছেন  মমতা। তাঁর আশীর্বাদেই অনুপ্রবেশ হচ্ছে। অনুপ্রবেশ দিদি রুখতে পারবেন না। তৃণমূল সাংসদ সংসদে প্রশ্ন করছিলেন, বিএসএফ কী করছে? মমতাদিদি আমরা জমি চেয়েছিলাম। পুরো জমি দিয়ে দিন, পাখিও গলতে পারবে না। আপনি চান অনুপ্রবেশ চলুক। আপনার পর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা হবে না। 

Advertisement

২০২৬ সালে সরকার গঠন

আপনি ৪০ শতাংশ ভোট পেরিয়ে গিয়েছেন। আর ৪-৫ শতাংশ করতে হবে। আগামী নির্বাচনেই আমাদের সরকার গঠন হবে। আমি ২০১৭ সালে বলেছিলাম, আমাদের সরকার তৈরি হবে এখানে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ভোটারের কাছে যান। আর নরেন্দ্র মোদীর বার্তা পৌঁছে দিন। এখানে দেশভক্তদের সরকার হোক, তোষণের নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনার বাংলাকে তছনছ করে দিয়েছেন। মমতাদিদির শাসনে এসএসসি দুর্নীতি, ডিয়ার লটারির দুর্নীতি, মনরেগা দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাসে দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, পুর নিয়োগে দুর্নীতি, জিটিএ দুর্নীতি এবং গরুপাচারের দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের সিন্ডিকেট হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠেছে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement