বাংলায় সদস্যতা অভিযান শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র EZCC-তে সভা করে কর্মসূচির সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের ১ কোটি সদস্য বানানোর টার্গেট দেন তিনি। সঙ্গে জানান, বিজেপির লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল।
সামনেই বিধানসভা উপনির্বাচন। তবে এই অনুষ্ঠান থেকে সেই ভোট নিয়ে একটি কথাও খরচ করেননি শাহ। বরং তাঁর লক্ষ্য ২০২৬ সেকথা বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, 'বাংলা থেকেই বিজেপির পথ চলা শুরু। আজ এখানে বিজেপি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।' অন্য রাজ্যে আগেই সদস্যতা অভিযান শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় বিজয়া দশমীর পর থেকে এই অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দেরিতে শুরু হলেও বঙ্গ বিজেপি ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহ। তিনি বলেন, 'বিজেপি পৃথিবীর সবথেকে বড় ও লোকতান্ত্রিক পার্টি। আমাদের পার্টির সদস্য কেউ আজীবন থাকে না। ৬ বছর পরে সদস্যপদ থাকে না। কাজ দেখে ঠিক করা হয় কেউ সদস্য থাকবেন কি না। অন্যদল পরিবারবাদ বা জাতপাতের উপর নির্ভর করে চলে। বিজেপি-তে তা দেখা হয় না।'
তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। এই রাজ্যে বিজেপির বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো খুশি। তবে ২০২৬ সালে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এমনটাই দাবি করেন অমিত শাহ। বলেন, 'আমাদের পরিণাম দেখে মনে মনে হাসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি আমাদের রুখতে পারবেন না। ২৬ সালে আমরা জিতব। মমতা দিদি এখন রাহুল বাবার কোম্পানিতে হজির। তবে ঝাড়খণ্ডে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে। সংসদে রাহুল বলছিলেন, হারিয়ে দিয়েছেন। এতটা সামান্য কথাও উনি জানেন না। উনি জিতে থাকলে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলেন না কেন?'
ইউপিএ জমানায় কেন্দ্র সরকার টাকা দিয়েছে, এনডিএ সরকার বাংলার উন্নতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও বেশি টাকা দিয়েছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ। তার হিসেব দেন। গত ১০বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ১০০ দিনের কাজ ইত্যাদি খাতে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সেই খতিয়ান তুলে ধরেন। জানান, গত ১০ বছরের মধ্যে গরিব মানুষকে ঘর, বিদ্যুৎ, ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস গরিব মানুষকে দেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ জানান, বাংলায় ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হবে।
বাংলায় সদস্যতা অভিযানের আলাদা গুরুত্ব আছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'অন্য রাজ্যে সদস্য বাড়ানোর অর্থ সেখানে সংগঠনকে মজবুত করা। কিন্তু বাংলায় এর অর্থ অনুপ্রবেশ আটকানো, দুর্গাপুজো শান্তিতে হতে দেওয়া, মা-বোনেদের সম্মন রক্ষা ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়ে তোলা।'