সুকান্ত মজুমদার বলছিলেন, 'সময়ের অভাবে লাঞ্চের পর ফিরে যাবেন অমিত শাহ।' তবে শুক্রবার নিজে থেকেই EZCC-তে BJP-র দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লেবুতলা পার্কে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো উদ্বোধনের পরই অমিত শাহ পৌঁছন EZCC-তে। থাকেন মিনিট তিনেক।
ফিতে কেটে, প্রদীপ জ্বালিয়ে BJP-র এই পুজো উদ্বোধনের পর অমিত শাহ দুর্গা প্রতিমার সামনে পুষ্পাঞ্জলীও দেন, করেন আরতিও। তবে আঁটসাঁট সময়ের কারণে সল্টলেকের এই পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়ে কোনও বার্তা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তারপরই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের কটাক্ষ, এ তো কোনওমতে বুড়িছোঁয়া করে পুজো উদ্বোধন।
উল্লেখ্য, গত ৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল EZCC প্রাঙ্গণের এই পুজো। যেটি 'পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চ'-এর পুজো হলেও বরাবরই BJP-র নিজস্ব দুর্গাপুজো হিসেবে বিখ্যাত। ২০২০ সালে প্রথম বঙ্গ BJP-র কালচারাল সেল প্রথম এই দুর্গাপুজো শুরু করে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পুজো শুরু হয়েছিল। দিল্লি থেকে ভার্চুয়ারি সে বছর এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ২০২২ সালের পর আচমকাই থেমে যায় EZCC-র পুজোর আয়োজন। আবারও বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। ফলে এই ঝিমিয়ে পড়া উদ্যোগ আবার চাঙ্গা করতেই EZCC-তে বিরাট আয়োজন। অমিত শাহকে দিয়ে ফের একবার সল্টলেকের এই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করানোও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে BJP-র একাত্মতা প্রমাণ করার লক্ষ্যেই আবারও সাড়ম্বরে আয়োজন করা হয়েছে এই পুজোর।
এদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে BJP নেতা সজল ঘোষের পুজো উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন,'মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, সোনার বাংলা নির্মাণ করতে পারে এমন সরকার তৈরি হোক রাজ্যে।' সেই সঙ্গে বিদ্যাসাগরস্তুতিও করেন শাহ। তাঁর কথায়,'মহিলাদের উন্নতির জন্য নিজের জীবন সমর্পিত করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।'