বহরমপুর আদালতে হঠাৎ হাজির অরিজিৎ সিং। পরনে নীল টিশার্ট, আর ট্রাউজার্স। দেশের বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎকে দেখে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আইনজীবী, সাধারণ মানুষ তো বটেই, তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে আসেন আরও অনেকে। এমনকী জেলা বিচারক ভাস্কর ভট্টাচার্যও সেলফি তুলতে আসেন গায়কের সঙ্গে।
ঘটনাটি গত শনিবারের। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একটা মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে কোর্টে এসেছিলেন অরিজিৎ। সেই মামলাটি ছিল সেকেন্ড জাজের এজলাসে। বিচারক ভাস্কর ভট্টাচার্যের এজলাসে তাঁর মামলার ছিল ন। তবে সেই বিচারক এসে সেলফি তোলেন গায়কের সঙ্গে।
এমনিতেই স্টেজে হাসিমুখে দেখা যায় অরিজিৎ সিংকে। তাঁর জীবন যাপন নাকি খুব সাদামাটা। এমনটাও শোনা যায়। জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ ওই এলাকার উন্নতির জন্য একাধিক কাজও করছেন। আর পাঁচজন আম পাবলিকের মতো তিনি স্কুটিতেই যাওয়া আসা করেন। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা কমই বলেন গায়ক।
বরং তাঁকে দেখে কেউ সেলফি তুলতে গেলে মাঝে মাঝে মেজাজ হারান গায়ক। এমন অভিযোগও রয়েছে অরিজিতের বিরুদ্ধে। তবে কোর্ট চত্বরে ভক্তদের আবদার মিটিয়েছেন অরিজিৎ। একের পর এক সেলফি তোলেন তিনি। তাও হাসিমুখে।
প্রসঙ্গত, কাজের সূত্রে দেশে বিদেশের নানা জায়গায় থাকলেও অরিজিৎ মাঝে মধ্যেই জিয়াগঞ্জে নিজের বাড়িতে যান বলে শোনা যায়। কিছুদিন আগে স্কুটিতে স্ত্রী-কে বসিয়ে ভোট দিতেও গিয়েছিলেন অরিজিৎ। অনুরাগীদের ভিড় ঢেলে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি। একজন ভক্তকে তো ঠেলেও সরিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩ বছর বয়সে হাজারি ব্রাদার্সের কাছে তালিম নেন অরিজিৎ। ৯ বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণের জন্য সরকারের কাছ থেকে বৃত্তি পান। তাঁর মা গান করতেন। ১৮ বছর বয়সে রিয়েলিটি শো ফেম গুরুকুলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অরিজিতের প্রিয় গায়ক গুলাম আলি, জগজিৎ সিং এবং মেহেদি হাসান।