কলকাতা ও বহরমপুর থেকে উদ্ধার বহু আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের হাতে ধৃত ৪

আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান রোধে বড় সাফল্য পেল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবক গ্রেফতার বহরমপুরে। বহরমপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নওদা পানুর এলাকার রেলগেট এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। এক ব্যক্তিকে বাইক নিয়ে আসতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়।

Advertisement
কলকাতা ও বহরমপুর থেকে উদ্ধার বহু আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের হাতে ধৃত ৪কলকাতা ও বহরমপুর থেকে উদ্ধার বহু আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের হাতে ধৃত ৪
হাইলাইটস
  • কলকাতার এজেসি বোস রোড থেকেও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ
  • আনন্দপুর থানা এলাকাতেও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে

আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান রোধে বড় সাফল্য পেল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবক গ্রেফতার বহরমপুরে। বহরমপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নওদা পানুর এলাকার রেলগেট এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। এক ব্যক্তিকে বাইক নিয়ে আসতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। বাইক আটকে শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৩ টি ম্যাগাজিন। এরপরেই হাবলু শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর ধৃত ব্যক্তি মুঙ্গের থেকে পিস্তলগুলি কিনে আনছিল জলঙ্গিতে। মুর্শিদাবাদে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের পরিকল্পনা ছিল তার। তার বাড়ি বহরমপুরের নওদায়। সে এক একটি পিস্তল ৩৫-৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করত। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।ধৃত হাবুল শেখকে বুধবার বহরমপুর জেলা আদালতে তোলো হয়েছে। তাকে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ।

এদিকে, কলকাতার এজেসি বোস রোড থেকেও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ সাদ্দাম হোসেনকে নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তার কাছ থেকে একটি ৭ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও আনন্দপুর থানা এলাকাতেও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। রাত একটা নাগাদ তোপসিয়া রোড এলাকায় মহম্মদ ফায়েম ও মহম্মদ ফিয়াজ নামে দুই যুবককে দেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কথায় অসঙ্গতি হওয়ায় তাদের তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে একটি দেশি ওয়ান শটার বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনই একটি সন্দেহভাজন বড় চক্রের অপারেটর। যাদের কাজ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা এবং তারপর শহরে দুর্বৃত্তদের কাছে বিক্রি করা। তাদের সকলকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  গত কয়েক মাসে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement