
Arpita Mukherjee: চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৩১টি এলআইসি-র পলিসি ছিল তাঁর নামে। আর প্রত্যেকটিতে নমিনি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি-র রিমান্ড কপি থেকে এই সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে। এটিও প্রকাশ করা হয়েছে যে পার্থ এবং অর্পিতা দুজনেই এপিএ ইউটিলিটি কোম্পানির অংশীদার ছিলেন। নগদ টাকা দিয়ে কিছু ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন অর্পিতা। এখন কার টাকা ছিল, অর্পিতা কোথা থেকে এই টাকা পেয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আজ ফের তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
পন্ডিতিয়ার ফ্ল্যাটে ইডি
বৃহস্পতিবারই কলকাতার পন্ডিতিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাটে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। মঙ্গলবারও ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু দরজা খুলতে পারা যায়নি। শেষে একটি নকল চাবি তৈরি করে, এমন একজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অনেক চেষ্টাতেও শেষে তিনি দরজা খুলতে পারেননি। বিষয়টি রবীন্দ্র সরোবর থানায় পুলিশকে জানিয়ে ফিরে যায় ইডি। বৃহস্পতিবার ফের ওই ফ্ল্যাটে আসেন ইডি আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। দরজা ভেঙেই ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, প্রথমে ওই ফ্ল্যাটে সরাসরি প্রবেশ করতে পাচ্ছিলেন না ইডির আধিকারিকরা। কারণ ফ্ল্যাটটি সরাসরি অর্পিতার নামে নেই। আগের যে কটি ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিয়েছিল সেগুলি অর্পিতার নামে ছিল। এই ফ্ল্যাটটি অন্য এক মহিলার নামে রয়েছে। কিন্তু এই ফ্ল্যাটের সঙ্গে অর্পিতার ভালো যোগসূত্র রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। শেষে বৃহস্পতিবার দরজা ভেঙেই এই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ইডি। এর আগে অর্পিতার বেলঘড়িয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদের হদিশ পেয়েছিল ইডি। সেই সঙ্গে অর্পিতার চিনারপার্কে আরেকটি ফ্ল্যাটেও হানা দেন তদন্তকারীরা