
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। পেশাগত কারণেই দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল। তবে ২০২১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে নেচিবাচক মন্তব্যই করতে শোনা গিয়েছিল। আবার শোভন এবং বৈশাখী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানের আগে এবং পরেও বৈশাখীর মুখে পার্থ প্রসঙ্গে উঠে আসে নানা অজানা কথা। গেরুয়া শিবির ছাড়ার পর bangla.aajtak.in-এ বৈশাখী জানিয়েছিলেন তাঁকে একটা সময়ে চোখ রাঙাতেন পার্থ।
পার্থ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বৈশাখী
ওয়েবকুপার তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনার পর দেখতে গিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য নার্সিংহোমে গিয়েছিলাম মনোজিতের সঙ্গেই। আমাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত তখন পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হয়ে সবচেয়ে বেশি অসম্মান করতেন শিক্ষকদেরই। বাড়িতে যে কাজ করেন, তাঁর সঙ্গেও বোধহয় ওরকম ব্যবহার কেউ করে না। উনি হঠাৎ বলে উঠলেন, এই তোমরা কেন এসেছো এখানে, যাও যাও বেরো বেরো। আমি বলেছিলাম সকলকে, কুকুর বেড়ালের মতো এমন আচরণ করছে, এরকম ভাবে গুড বুকে থাকার কোনও মানে হয় না।'

চোখ রাঙানি
বৈশাখী আরও বলেছিলেন, 'শোভনের একটা জেদ ছিল। ওঁর বলেছিল, আমার কারণে কেন ওয়েবকুপা থেকে এবং চাকরি থেকে তোমাকে সরতে হল? এগুলো তো শোভনের কারণে আমি পাইনি। আর পার্থ বলতেন, মমতা নাকি বলেছিলেন বৈশাখীকে স্কেপগোট করা হবে। যা শুনতাম পার্থর মাধ্যমেই শুনতাম। অথচ দিদি আমার সামনে পার্থকে বলতেন, বৈশাখীর সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কেন?' তাঁর সংযোজন ছিল, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে হ্যাঁ হ্যাঁ বলতেন আর পরে চোখ রাঙাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলতেন, মমতা দেখাচ্ছো আমাকে? কী ভেবেছো, আমার অফিস হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে চলে? নাকতলা থেকে চলে আমার অফিস। আমি মনে করলে তবে তুমি আসতে পারবে। আমি বুঝেছিলাম, উনি আমায় যে পদেই বসাতেন, সে পদ নিরাপদ ছিল না। আমি পাঁকেচক্রে জড়িয়ে পড়তাম।'
কোন মন্ত্রী রাতে ডেকেছিলেন বৈশাখীকে?
bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেছিলেন, 'একবার এক মন্ত্রী আমায় বলেছিলেন, আমার স্ত্রী এখন বাড়িতে নেই, এসো না একদিন গল্প করতে। আমি বলেছিলাম, নিশ্চয়ই যাব দেখা করতে তবে আপনার স্ত্রী যেদিন থাকবেন, সেদিনও কিন্তু আমায় গল্প করার জন্য ডাকবেন। মন্ত্রী-সান্ত্রি, বন্ধু-প্রেমিক কারও ক্ষেত্রেই এটা করিনি যে আড়াল আবডালে সম্পর্ক রাখব অথচ সামনে দেখাব না। আমি ভাই পাতাই না। সারারাত এক বিছানায় কাটিয়ে হঠাৎ করে তাকে রাখি বাঁধব, এরকম হিপোক্রেসি কোনওদিন পছন্দ করি না।