ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার হেরে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের একাংশ। তা নিয়ে bangla.aajtak.in-কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। লাখ লাখ মানুষ সেই সাক্ষাৎকার শোনেন ও প্রতিক্রিয়া দেন। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আর এক বিখ্যাত অভিনেতা মোশাররফ করিম।
বাংলাদেশে টিম ইন্ডিয়ার হারে আনন্দ উৎসব ও নিয়ে কী বলবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ করিম বলেন, 'আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আমার কাছে আসবে। কিন্তু আমার যেটা মনে হয়, খেলা মাঠের মধ্যে থাকাই ভালো। খেলা আসলে খেলা। এই জিনিসগুলোকে বিভিন্নভাবে উসকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয় যেটা সুখকর মনে হয় না। আর এই সব বিষয়গুলোকে আমি খুব বড় করে দেখি না। এগুলো সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে যায়। এগুলি তাৎক্ষণিক মস্তিষ্কের উত্তেজনা ছাড়া আর কিছুই নয়।'
তিনি আরও জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি খুব একটা সক্রিয় নন। তিনি মাথাও ঘামান না এসব নিয়ে। তিনি একটু অন্য ধরনের মানুষ। তাই সবার সঙ্গে তাঁকে মিলিয়ে ফেললে চলবে না।
রবিবার সন্ধেবেলা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মোশাররফ করিম। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
কিছুদিন আগেই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন,'এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষীর সংখ্যা কম নয়। সেটা রাজনীতি হোক বা খেলাধুলো, সবক্ষেত্রেই। উল্টোদিকে বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ ভারতের সিনেমা ভালোবাসে, মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে মনে রাখে। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে মনে রাখে না, তারা বংশ পরম্পরায় ভারত বিরোধী। তারা সব সময় পাকিস্তানের পক্ষে।'
চঞ্চলের এই মন্তব্যে ঝড় ওঠে। অনেকে তাঁকে বয়কটের ডাক দেন। বাংলাদেশের নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। যদিও তারপর তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
বাংলাদেশে ভারতের হারে যে উচ্ছ্বাস তার তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে তথাগত রায়-সবাই বাংলাদেশের এমন প্রতিক্রিয়ার নিন্দা করেন। তিন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, 'এর কারণ বাংলাদেশের অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা রয়েছে। তারা যে ভারতের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধে জিতেছে এটা অনেকে মেনে নিতে পারেনি আজও। তাই সেখানে এখনও ভারত বিরোধী চর্চা হয়।'
আবার দিলীপ bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'বাংলাদেশে ভারত বিরোধী গ্রুপ আছে। পাকিস্তানেও আছে। তাদের কাজই হল ভারত বিরোধিতা করা। বাংলাদেশে যে সরকার আছে, তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ভালো। তাই বাংলাদেশের ভারত বিরোধিরা এখন দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে পারছে না। কিন্তু, ওখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। আর যারা পরাজিত জাতি তারা ভারত বিরোধিতা করছে। তাই তো টিম ইন্ডিয়া হারার পরে তারা আনন্দ উৎসব করেছে। বাংলাদেশ শুধু কেন, পাকিস্তানও করে এমন। তবে সেই পাকিস্তানের আজ কী অবস্থা সেটা তো সবর জানা।'