scorecardresearch
 

Bangladesh Exports Hilsa: বাংলাদেশ থেকে আসছে ৩ হাজার টন মাছ, কবে বাজারে পৌঁছচ্ছে পদ্মার ইলিশ?

সম্প্রতি ভারতের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে। অবশ্য এর আগে গত ১১ অগাস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশবাসী ইলিশ পাবেন না, আর বিদেশে রফতানি হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও শেষপর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলালো বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement
বাংলাদেশ থেকে আসছে ৩ হাজার টন মাছ বাংলাদেশ থেকে আসছে ৩ হাজার টন মাছ

অবশেষে ভারতে পদ্মার ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফ থেকে শনিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে তাতে লেখা রয়েছে, "উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রে প্রাপ্ত পত্রের প্রেক্ষিতে আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিভিন্ন রফতানিকারকদের আবেদনের ভিত্তিতে, নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হল ৷" এই বিজ্ঞপ্তিতে সই রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রকের উপসচিব সুলতানা আক্তারের ৷

পুজোর মরসুমে  ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানিরফতানির  অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টন প্রতি কত টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে জানা যায়নি। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির বিষয়ে শনিবার বাণিজ্যমন্ত্রকের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এতথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রফতনিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হল। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রকের  কাছে (উপসচিব, রফতানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যাঁরা আগেই আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। ফলে আশা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতেই পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে ঢুকতে শুরু করে দেবে পদ্মার ইলিশ।

 

আরও পড়ুন

সম্প্রতি ভারতের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ  উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে। অবশ্য এর আগে গত ১১ অগাস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশবাসী ইলিশ পাবেন না, আর বিদেশে রফতানি  হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও শেষপর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলালো বাংলাদেশ সরকার। 

Advertisement

ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে স্বীকৃত। পুজোয় টানা পাঁচ বছর ভারতে ইলিশ রফতানি করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও ২০১২-’১৮ সাল পর্যন্ত রফতানি বন্ধ ছিল। ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রফতানি  চালু হয়। প্রায় প্রতিবছর দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়ে থাকেন ভারতের কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা। গত বছর দুর্গাপুজো  উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির  অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রক।
 

Advertisement