Bangladeshi Hilsa: পরশু থেকেই বাজারে টন টন বাংলাদেশের ইলিশ, দাম কেমন?

রাজ্যে ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। আগামীকাল বাংলাদেশ থেকে আসছে রুপোলি শস্য। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক আজ ২৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র প্রদান করেছে, যা ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ইলিশের এই চালান পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে এবং সরাসরি হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছবে।

Advertisement
পরশু থেকেই বাজারে টন টন বাংলাদেশের ইলিশ, দাম কেমন?পদ্মার ইলিশ ঢুকছে রাজ্যে।-গ্রাফিক ছবি
হাইলাইটস
  • রাজ্যে ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর।
  • আগামীকাল বাংলাদেশ থেকে আসছে রুপোলি শস্য।

রাজ্যে ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। আগামীকাল বাংলাদেশ থেকে আসছে রুপোলি শস্য। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক আজ ২৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র প্রদান করেছে, যা ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ইলিশের এই চালান পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে এবং সরাসরি হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছবে। এছাড়া শিয়ালা, পাতিপুকুর এবং শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারেও এই ইলিশ সরবরাহ করা হবে। পাইকারি বাজার থেকে মাছ খুচরো ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবে।

ফলে, পরশু সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাবে। তবে এই ইলিশের দাম চড়া থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। ফিস ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন কলকাতার সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, মাছের উঁচু চাহিদা ও সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে দাম বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইলিশের মরসুমের শেষ পর্যায়ে এসে এই বাংলাদেশী ইলিশের আগমন রাজ্যের মাছপ্রেমীদের কাছে যেমন আনন্দের খবর, তেমনই দাম নিয়ে কিছুটা চিন্তার কারণ হতে পারে।

এর আগে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছিল, উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। পরে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।

বাজারে গিয়ে পদ্মার এক কেজি ইলিশ কত দিয়ে কিনতে হবে? ফিশ ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর,মাছের দাম কত কী হবে, বলা এখনই সম্ভব নয়। এমনিতেই ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। যদি পরিমাণে বেশি আসে, তবেই দাম কম হবে। নয়তো দাম বেশিই থাকবে। 

পদ্মার ইলিশ চিনবেন কীভাবে?
পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের রঙ উজ্জ্বল রুপালি। অন্যদিকে হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশের রঙ হয় অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাসে ধরনের। টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। টাটকা ইলিশ হাত দিয়ে উঁচু করে ধরলেও আকারের পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে হিমায়িত বাসি ইলিশ নরম হয়। হাতে দিয়ে পেটের কাছে ধরলেই মাথা ও লেজা নিচের দিকে হেলে পড়বে।

Advertisement

পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ অনেকটা গোলাকার। অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া, আর সমুদ্রের ইলিশের পেটের দিকটা সরু হয়। ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কান দেখে নিতে হবে। টাটকা ইলিশের কান হয় টকটকে লাল রঙের। আর হিমায়িত বাসি ইলিশ হলে কান হবে বাদামি বা কালচে রঙের। টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল। হিমঘরে রাখা ইলিশের চোখ ঘোলাটে ও ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement